
ছবি: সংগৃহীত
জামায়াতে ইসলামীর নেতৃস্থানীয় মিয়া গোলাম পরওয়ার দাবি করেছেন, ১৯৭৩ সালে প্রণীত ‘ওয়ার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট’-এ স্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল যে, শুধুমাত্র সেনাবাহিনীর যোদ্ধারা ও সরাসরি যুদ্ধের সাথে জড়িত ব্যক্তিরাই যুদ্ধাপরাধী হিসেবে গণ্য হবেন। কিন্তু, পরবর্তীতে এই আইন পরিবর্তন করে রাজনৈতিক বিদ্বেষের কারণে বেসামরিক রাজনৈতিক নেতাদেরও যুদ্ধাপরাধের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, "যারা কোনো বাহিনীর সদস্য ছিলেন না, কখনো যুদ্ধ করেননি— সেই মাওলানা নিজামী, মুজাহিদ, কামরুজ্জামান, কাদের মোল্লা ও বীর কাসেমের মতো নেতাদেরও যুদ্ধাপরাধী বানানো হলো। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাদের বিরুদ্ধে আইন সংশোধন করে মামলা করা হয়েছে। ল অফ এভিডেন্স পরিবর্তন করে তাদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে। এটি ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে একটি ‘জুডিশিয়াল কিলিং’।”
মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, "আমি এগুলো বলতে চাই না, কিন্তু দুঃখ পাই— ৫৪-৫৫ বছর পর শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক মীমাংসিত ইস্যুগুলো নতুন করে টেনে এনে জাতিকে বিভক্ত করা হচ্ছে।"
তিনি বলেন, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের মতো দেশগুলো বাংলাদেশ থেকে পরে স্বাধীনতা পেলেও তারা রাজনৈতিক ভিন্নতা ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গড়ার দিকে মনোনিবেশ করেছে। কিন্তু বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্বার্থে স্বাধীনতার ইস্যুগুলোকে আবার সামনে এনে জাতির মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে।
তাই তিনি আহ্বান জানান, "জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে জাতীয় ঐক্যের যে উদাহরণ বিশ্ব দেখেছে, সেই জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে আবার দেশ গড়ার চেষ্টা করতে হবে। দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এক হতে হবে।"
শিলা ইসলাম