
ছবি: সংগৃহীত
গাজীপুর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে চাকরিবিধি লঙ্ঘনের একটি ঘটনা সামনে এসেছে। সরকারি নিয়োগপ্রাপ্ত পরিচ্ছন্নতা কর্মী জায়েদা আক্তার দীর্ঘদিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত।
তবে তার অনুপস্থিতিতে তার মেয়ে শিল্পী আক্তার দায়িত্ব পালন করছেন, যা সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত। জানা গেছে, ২০১৯ সাল থেকে মায়ের পরিবর্তে শিল্পী আক্তার অফিসের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
জায়েদা আক্তার প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ছিলেন, কিন্তু যাতায়াত অসুবিধার কারণ দেখিয়ে ২০২২ সালে বদলি হয়ে গাজীপুর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে যোগ দেন। তবে বদলির পরও তিনি কাজে যোগ দেননি; বরং তার পরিবর্তে মেয়ে শিল্পী কাজ করছেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি, দীর্ঘদিন ধরে জায়েদা আক্তার কাজে আসেন না। তবে তার মেয়ে শিল্পী প্রতিদিন এসে কিছুক্ষণ কাজ করেন এবং চলে যান।
এখন এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে চাকরিটি আসলে কার? এক সাংবাদিক শিল্পীকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি কোন সালে নিয়োগ পেয়েছেন?
যার উত্তরে তিনি বলেন, আমি নিয়োগ পাইনি, আম্মা নিয়োগ পেয়েছে। আমি ২০২২ সাল থেকে এখানে কাজ করছি।
সিভিল সার্জন অফিসের একজন নতুন কর্মকর্তা বলেন, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি, প্রায় ১০-১২ দিন হলো। শুনেছি, এখানে আগে এক মহিলা চাকরি করতেন, যিনি শিল্পীর মা। তিনি প্যারালাইজড, উঠে বসতে পারেন না। তাই তার মেয়ে কাজ করছে। তবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিষয়টি জানার পর তারা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে এই অনিয়মে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের তদারকির অভাব স্পষ্ট হয়েছে।
শিলা ইসলাম