
ছবি:সংগৃহীত
বর্তমান আইনি বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে- "বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক" কে ধর্ষণ হিসেবে গণ্য করা হবে কিনা। এ বিষয়ে মতামত দিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী
ভারতের নাঈম বনাম স্টেট মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে, যদি কোনো প্রাপ্তবয়স্ক নারী স্বেচ্ছায় ও সম্মতিতে সম্পর্কে জড়ান, তবে তা ধর্ষণ নয়—এমনকি যদি পুরুষটি পরবর্তীতে বিয়ে না-ও করে। বাংলাদেশের মনোয়ার বনাম স্টেট মামলায় হাইকোর্টও একই রকম সিদ্ধান্ত দিয়েছে: ১৬ বছরের ঊর্ধ্বে কোনো নারীর সম্মতিতে সম্পর্ক ধর্ষণের আওতায় পড়ে না।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযুক্তের নাম-ছবি প্রকাশের অনুমতি থাকলেও, অভিযোগকারীর গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়। ফলে, মামলার সত্যতা যাচাইয়ের আগেই অভিযুক্তের সামাজিক জীবনে ধ্বংসযজ্ঞ ঘটে। মিডিয়া ট্রায়ালে তার পরিবারও হয়রানির শিকার হয়।
যদি কোনো নারী "বিয়ের প্রলোভন" দিয়ে মামলা করেন, তবে অভিযুক্ত পুরুষটির নাম সংবাদে ছাপা হয়, চাকরি ও সামাজিক মর্যাদা হারায়। পরে মামলা খারিজ হলেও ক্ষতি পূরণ অসম্ভব।
বর্তমান আইনে *শুধু পুরুষদের বিরুদ্ধে* মামলা করার সুযোগ থাকায় এটি লিঙ্গবৈষম্য তৈরি করছে বলে সমালোচনা হচ্ছে। অনেক দেশে (যেমন ভারত) এই ধরনের সম্পর্ককে ধর্ষণ হিসেবে দেখা হয় না, যদি উভয় পক্ষ সম্মত হয়।
শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে **সম্মতির বয়স (১৬+) ও প্রমাণের মান* স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা প্রয়োজন।
যদি প্রমাণিত হয় যে মামলা মিথ্যা, তাহলে অভিযোগকারীর জন্য শাস্তির বিধান রাখা উচিত।
অভিযুক্তের নাম প্রকাশের আগে প্রাথমিক তদন্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত সংবাদ প্রকাশে সংযম প্রয়োজন।
আঁখি