
সাবেক ছাত্রনেতা ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক মোশাররফ আহমেদ ঠাকুর সম্প্রতি এক টেলিভিশন টকশোতে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তিতে কালিমা লেপন করার বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘‘গোটা সেনাবাহিনীকে কলঙ্কিত করা শামিল। আমি আপনাকে তাই বলছি আজকে যারা সেনাবাহিনীকে কলঙ্কিত করতে চায়, এদেরকে প্রসিকিউট করা উচিত। এদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা উচিত।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘সেনাবাহিনী নিয়ে চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র স্বাধীনতার পর থেকেই ছিল। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত যে সময়টা, ওই সময়টাতে দেখা গেল যে, কেউ সিপাহী জনতার অভ্যুত্থানের মাঝখানে এসে বলল যে, 'সুবেদারের উপর অফিসার নাই, অফিসারদের কল্লা চাই, অফিসারদের রক্ত চাই’।’’
মোশাররফ আহমেদ ঠাকুর তার বক্তব্যে আরো বলেন, ‘‘যুদ্ধের সমরবিদ্যা এবং সেনাবাহিনীর কমান্ড সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মেজর হাফিজের বইয়ের উদাহরণ দেন। তিনি বলেন, 'কমান্ড ছাড়া সেনাবাহিনী কখনও জিততে পারে না।' বদরের যুদ্ধে মুসলমানরা যেদিকে ছিল, সেদিকে বালু ছিল, কিন্তু বৃষ্টির পর সেই বালু টানটান হয়ে মুসলমানদের পক্ষে চলে আসে। এইভাবে, সেনাবাহিনীর কমান্ডারকে যদি মেলাইন করেন, তাহলে পুরো সেনাবাহিনীকেই আপনি কলঙ্কিত করছেন।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘বর্তমানে কিছু অপদার্থ ব্যক্তি ১৬ বছর বয়সে ভোটের বয়স হতে হবে বলে দাবি করছেন। আমাদের মতে, ১৮ বছরের একদিন কম হলেও শিশু আইনে প্রটেকশন পাওয়া উচিত। এই দাবিকে অবান্তর এবং আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।’’
এছাড়াও তিনি সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তিতে কালিমা লেপন করার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘‘এটা শুধু সেনাবাহিনীকে নয়, পুরো প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রের অংশ।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘একটি পার্টির নেতা এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক যে ক্যান্টনমেন্টে বোমা মারার হুমকি দিয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। সেনাবাহিনী আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক।’’
মোশাররফ আহমেদ ঠাকুর অবিলম্বে এসব ষড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওতায় আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘‘আমি বলব যে, সেনাবাহিনী প্রধান জনাব ওয়াকারুজ্জামান, আপনি সামনে আসুন। বাংলাদেশের জনগণের যে দাবি, সেটি হলো একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের মালিকানা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া।’’
এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।
আফরোজা