
শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-ভাতা ও ক্ষতিপূরণ পরিশোধ না করায় সরকার ১২টি তৈরি পোশাক কারখানার মালিকদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। সরকারের এই পদক্ষেপে বলা হয়েছে, শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ না করা পর্যন্ত এসব মালিকরা বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, "স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে এবং আজ থেকেই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে।"
এরপর শ্রম মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডার্ড গ্রুপের তিনটি প্রতিষ্ঠান, মাহমুদ গ্রুপের দুটি প্রতিষ্ঠান, টিএনজেড গ্রুপের চারটি প্রতিষ্ঠান, স্টাইলক্রাফট লিমিটেড, ইয়াং ওয়ান্স (বিডি) লিমিটেড এবং রোর ফ্যাশনের মালিকদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, "বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) এর মধ্যে তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধের নির্দেশনা রয়েছে। তবে ১২টি কারখানা নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে পরিশোধ করতে পারবে না, এমন তথ্য পাওয়া গেছে, যার মধ্যে পাঁচটি কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ চলছে।"
তিনি আরও জানান, "যেসব কারখানা নির্ধারিত সময়ে বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের মালিকদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। শ্রম আইন অনুযায়ী সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেবে।"
এম সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, "এই মালিকদের বিদেশ ভ্রমণে কোনো সমস্যা নেই, বাড়ি-গাড়ি করতেও কোনো সমস্যা নেই, তবে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের ক্ষেত্রে তাঁরা নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন।"
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ না করলে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, এমন প্রশ্নে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, "বৃহস্পতিবারের পর বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে। যদি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়, তাদের বিরুদ্ধেও সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
আফরোজা