
স্বাধীনতা দিবস ও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসপতিত সরকারের আমলে টাকা পাচারের অভিনব উপায়ের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, "পলাতক সরকারের আমলে চর দখলের মতো দেশের ব্যাংকগুলো দখল করে নেয়া হয়েছিল। আমানতকারীর টাকাকে তারা নিজেদের ব্যক্তিগত টাকায় রূপান্তরিত করে ফেলেছিল।"
তিনি আরও বলেন, "অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম কাজ ছিল ব্যাংকিং ব্যবস্থায় আস্থা ফিরিয়ে আনা। আমানতকারীর স্বার্থ রক্ষা করে নিয়ম শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা। হিসাবপত্রে বিশ্বাসযোগ্যতা স্থাপন করা। ব্যাংকিং ব্যবস্থায় আস্থা প্রতিষ্ঠা করা গেছে। এর ফলে অর্থনীতিতে শৃঙ্খলা ফিরেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের গুলোর মধ্যে এটা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।"
"গত সরকারের লুটপাটের মহোৎসবে গত ১৫ বছরে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। এটা আমরা জানি। কত রকম ভাবে পাচার হয়েছে তাও জানার বিষয়। অভিনব এ একটা পদ্ধতি ছিল। পাচারের একটা পদ্ধতি সবাইকে হতভম্ব করে দিয়েছে। এই পাচার হয়েছে বিদেশে অধ্যয়নরত সন্তানের কাছে টাকা পাঠানোর নামে।"
তিনি আরও জানান, "তিনি সন্তানের লেখাপড়ার জন্য এক সেমিস্টারের অর্থাৎ তিন মাসের খরচ বাবত অফিশিয়াল ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠিয়েছেন ৩ কোটি ৩৩ লাখ ডলার। অর্থাৎ প্রায় ৪০০ কোটি টাকা।"
"পাচারের এর চাইতে বেশি তাক লাগানো পন্থা আর কি আছে?" প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, "তার কোনো সীমা আছে বলে আমার মনে হয় না। আইন, নিয়ম, নীতির জায়গায় যখন হরিলুট প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন এমন সবকিছুই সম্ভব।"
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, "এই অর্থপাচারকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।"
সূত্র:https://tinyurl.com/xbk4hdmh
আফরোজা