
ছবি: গ্রেফতারকৃত অভিযুক্ত শাওন
কুমিল্লার চান্দিনায় একটি এনজিও’র পুরুষ কর্মীকে গাছের সাথে বেঁধে নারী কর্মীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় মামলার এজহারভুক্ত আসামি মো. শাওন হোসেনকে (২৫) ঘটনার ৮ দিনপর শ্বশুরবাড়ি গ্রেফতার করেছে চান্দিনা থানা পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) ভোরে কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ভানী ইউনিয়নের খাদঘর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্ত শাওন সম্প্রতি খাদঘর গ্রামের আলী আহাম্মদের মেয়েকে বিয়ে করেন। সেই সুবাদে তিনি শ্বশুরবাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন।
অভিযুক্ত মো. শাওন হোসেন কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার পৌর এলাকার তুলাতলী গ্রামের মো. সেলিম মিয়ার ছেলে।
তার দেয়া তথ্যে ঘটনার মূল অভিযুক্ত স্বপনের শ্বশুরবাড়ি চান্দিনার এতবারপুর গ্রাম থেকে একটি মোটরসাইকেল ও ইলেক্ট্রিক শকার উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চান্দিনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিথুন কুমার মন্ডল জানান, 'ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে ছিল আসামিরা। প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার ৮ দিন পর মো. শাওন হোসেনকে আটক করি। অভিযুক্ত শাওন প্রাথমিকভাবে এনজিও কর্মীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনা স্বীকার করে। দুপুরে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করতে কুমিল্লার আদালতে হাজির করা হয় তাকে।'
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৭ মার্চ) কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার তুলাতলী গ্রামে সন্ধ্যার পর একটি এনজিও’র পুরুষ ও নারী কর্মীকে আটক করে নির্যাতন চালায় কয়েকজন যুবক। রাত ১১টা পর্যন্ত একটি নির্জন বাগানে নিয়ে পুরুষ কর্মীকে গাছের সাথে বেঁধে নারী কর্মীকে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ উঠে। এসময় দুইজনকে ইলেক্ট্রিক শকার দিয়ে শক দিয়ে নির্যাতন করে অর্থ আদায়ের অভিযোগ করেন ভূক্তভোগীরা।
পরে স্থানীয়রা টের পেয়ে অভিযুক্তদে ধাওয়া করে এবং ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে চান্দিনা থানায় মামলা করেন এনজিওটির পুরুষ কর্মী তারেক রহমান।
রায়হান/রাকিব