
ছবি: সংগৃহীত
স্বাধীনতা হল এমন বিশেষণ, যা একটি জাতি দেশ বা রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ অবস্থান বোঝায়। যেখানে তাদের নিজস্ব শাসন ব্যবস্থা ও আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব থাকবে। স্বাধীনতার বিপরীত হলো পরাধীনতা। তবে স্বাধীনতা মানে কোন অর্থেই যা খুশি তা করা বোঝায় না। সবক্ষেত্রে ব্যক্তি স্বাধীন নয়, বরং সংবিধান আইন-কানুন ও বিধিবিধান হবে স্বাধীন।
স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হল একটি বস্তুগত বৈধ সত্ত্বা, যা একটি কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক শাসিত এবং যার একটি নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে সার্বভৌমত্ব বিদ্যমান। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী একটি স্থায়ী জনগোষ্ঠীর নির্দিষ্ট সীমানা সরকার এবং অপর কোন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করার যোগ্যতা থাকলে তাকে সার্বভৌম রাষ্ট্র বলা হয়। এবং স্বাধীন রাষ্ট্রের একটা লিখিত অথবা অলিখিত সংবিধান থাকবে। বাংলাদেশের সংবিধানে ১৫৩ টি অনুচ্ছেদ রয়েছে,যাহা ১১ টি অংশ এবং চারটি তফসিলের অধীনে সাজানো হয়েছে। ১৯৭২ সালে ১০ এপ্রিল গৃহীত ঘোষণা পত্রের মাধ্যমে চারটি বিষয় স্বীকার করা হয়েছে। (১) বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছেন। (২) ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। (৩) স্বাধীনতার সনদ বা ঘোষণাপত্র ও গণপরিষদের প্রামানিকতা এবং (৪) জাতীয়তাবাদ গণতন্ত্র সমাজতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা এ চারটি মূলনীতির ভিত্তিতে বাংলাদেশের জন্য একটি সংবিধান প্রনয়নের দায়িত্ব গ্রহণ। এ চারটি মৌলিক স্তম্ভকে একত্রে মুজিব বাদ হিসেবে ও আখ্যা দেওয়া হয়েছিল।
স্বাধীনতার পর দীর্ঘ ৫৫ বছরেও হাজারো অসংগতি ও অপ্রাপ্তির মধ্যে ও কিছু অভূতপূর্ব প্রাপ্তি রয়েছে। স্বাধীন দেশে আমাদের লাল সবুজের পতাকা ফত ফত করে উড়ে। পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ জাতীয় সংগীত আমরা পেয়েছি। স্বাধীনতার পর মাত্র নয় মাসের মধ্যেই একটা সু লিখিত সংবিধান পেয়েছি। ৫৬ হাজার ৯ শত ৭৭ বর্গ মাইলের স্বাধীন সার্বভৌম ভূখণ্ড পেয়েছি।এই স্বাধীনতার সুফলে মাতৃভাষা বাংলা ভাষাভাষী প্রধানমন্ত্রী প্রেসিডেন্ট, স্পিকার ও সকল বাহিনী প্রধান পেয়েছি। নিজেদের শাসনতন্ত্র নিজেরাই রচনা করতে ও কার্যকর করতে পেরেছি। আজ আমাদের সকল সরকারি কর্মচারী বাংলাদেশি। স্বাধীনতার পূর্বে প্রায় সকল সরকারি কর্মকর্তা পশ্চিম পাকিস্তানি ও উর্দু ভাষাভাষী ছিল। কেবল মাত্র কিছু চৌকিদার শ্রেণী বা চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী বাংলা ভাষাভাষি ছিল। তখন এখানে একটি লুঙ্গি চাচা বাবা ছেলে ও দাদা ভাগাভাগি করে পড়তে হত। অনেক ক্ষেত্রে লজ্জা নিবারনের জন্য নেংটি একমাত্র ভরসা ছিল।
আজ স্বাধীনতার সুফলেই মাত্র দুই কেজি চালের দামে একটি শার্ট বা একটি লুঙ্গি পাওয়া যায়। আমরা আজ পোশাক আশাকে স্বাবলম্বী। পোশাক উৎপাদনে আজ কেবল নিজেরাই স্বাবলম্বী নয়, পৃথিবীর তাবর শক্তিশালী দেশগুলি ও আমাদের তৈরী পোশাক শিল্পের উপর নির্ভর করে। বিদেশ গিয়ে যখন দেখি, ঐ দেশের পোশাকের উপর লেখা মেড ইন বাংলাদেশ। তখন গর্ভে বুকটা ভরে যায়। এই স্বাধীন বাংলাদেশের তৈরি পোশাক দিয়েই বিশ্বকাপ ফুটবল ও বিশ্বকাপ ক্রিকেটের মত জনপ্রিয় জার্সির চাহিদা মেটায়। ইউরোপ সহ বিভিন্ন দেশের জনপ্রিয় ক্লাবগুলোর জার্সির চাহিদা মেটায় এই বাংলাদেশের তৈরি পোশাক। এই স্বাধীনতা বিধাতার অশেষ মেহেরবানি। এই স্বাধীনতার কারণেই বাংলা মায়ের মিষ্টি হাসি। এই স্বাধীনতাতেই শুনি বাংলা মায়ের খোকা খুকি বলে ডাকার ধ্বনি। এই স্বাধীনতা না পেলে আমরা হয়তো ফিলিস্তিন বা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ন্যায় বিপন্ন ও নিরন্ন হিসাবে পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হতো।
স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫৫ বছর অতিক্রম করার পরও অনেক ক্ষেত্রেই আমরা ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে। এই সময়ে আমাদের যেসব ব্যর্থতা রয়েছে, তার মধ্যে নীতি নৈতিকতা ও আদর্শের দৈন্যতা অন্যতম। বাংলাদেশ স্বাধীনতার সুফল খুব কম পেলেও নেতিবাচক দিকের পাল্লা ঢের বেশি বলা যায়। নিম্নে কয়েকটি নেতিবাচক দিক তুলে ধরা হল।
আমরা অদ্যাবধি নাট বল্টু তৈরি করার যোগ্যতা ও অর্জন করতে পারি নাই, অধিকাংশ নাট বল্টু বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। দুইশত টাকা মূল্যের বালিশ ভূয়া ভাউচার দেখিয়ে ২ লক্ষ টাকা দেখানোর যোগ্যতা অর্জিত হয়েছে। দেদারসে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। অবলা ভেবে আজও নারীদের নির্যাতন করা হচ্ছে। যৌতুক নেওয়া হচ্ছে। ধর্ষণ ও বলাৎকার করে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্ষমতাশালীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। বৃদ্ধ বাবা মাকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। নিজের সঙ্গে না রেখে বাবা মা কে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানো হচ্ছে। কাজ করার যোগ্যতা থাকলেও ভিক্ষা করছে। নিজে মেধাবী না হয়েও ক্ষমতা ও ঘুষ দিয়ে অগ্রগামী হওয়ার পায়তাড়া করা হচ্ছে। পড়াশোনা না করেও প্রশ্ন ফাঁস করে উত্তীর্ণ হওয়া যায় এখানে। উদোর পিন্ডি বুঁধর ঘাড়ে চাপানো হচ্ছে। জোর যার মুল্লুক তার এই নীতিতে কাজ করা হচ্ছে। দুর্বলের উপর সবলের আঘাত করা হচ্ছে। মব জাষ্টিস কায়েম করা হচ্ছে। উপাসনালয়ে সবার শেষে গিয়েও অন্যের ঘাড় এর উপর দিয়ে প্রথম কাতারে গিয়ে ঔদ্ধত্য দেখানো হচ্ছে। যার বা যাদের নেতৃত্বে ও নির্দেশে এবং যাদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে, তাদেরকে অস্বীকার করার হচ্ছে।
ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী, পাকিস্তানের জাতির জনক জিন্না, তুরস্কের জাতির জনক কামাল আতার্তুক, পৃথিবীর অন্যান্য সকল দেশের জাতির জনকের নাম বলে সর্বশেষ বাংলাদেশের জাতির জনক ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম বলা হচ্ছে। এক পক্ষ ভারতের এবং অপরপক্ষ পাকিস্তানের দালালি করে। স্বৈরাচারী কায়দায় ক্ষমতার টিকে রাখতে দিনের ভোট রাতে করা। জনগণের ভোটাধিকার হরন কবে ক্ষমতা দখল করে গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল সাঝা। ক্রসফায়ারে মানুষ খুন করা। কোন পেশা না থাকলেও পাত্রীপক্ষকে ইনকাম সোর্স হিসেবে রাজনৈতিক নেতা পরিচয় দেওয়া। ফেসবুকে কয়েকটি শব্দ পোস্ট করার দায়ে কর্মজীবী নারীর বিরুদ্ধে সাত ধরনের ব্যবধানগ্রহণ। শ খানেক অভিযোগ এ অভিযুক্ত সরকারি কর্মচারীকে পুরস্কৃত করার স্বাধীনতা।
সরকারি কার্য্যালয় জনসাধারণের ফাইলগুলোকে লাল ফিতায় বন্দী করে রাখার স্বাধীনতা। রেল লাইনের পাথর নিজের মনে করে বাড়ীতে নিয়ে যাওয়া। অকারনে ট্রেন এর শিকল টেনে থামানো। প্রতিপক্ষকে কুৎসা রটিয়া ঘায়েল করার। বিরোধী দলকে কোন ধরনের অধিকার না দেওয়া। মানুষকে মানুষ মনে না করা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে গায়ের জোরে পদত্যাগ করানো। ফেলানীর লাশ কাঁটাতারের উপর ঝুলে থাকলেও প্রতিবাদ না করা। স্বে”ছাচারিতা করা। ধর্মের নামে অধর্ম করা। সুদুর রাশিয়া ও সাইবেরিয়া হতে আগত অতিথি পাখিকে গুলি করে মেরে রসনা বিলাস করা। বন্য প্রাণীকে আহত করে নিজ গৃহে বন্দী করে রাখা।
আমি আশাবাদী, আজকের পর স্বাধীনতা মানে বিচ্ছিন্নতা নয়। গ্রাম এবং শহরের নওজোয়ান হিন্দু-মুসলমান বৌদ্ধ - খ্রিষ্টান আবাল বৃদ্ধ বনিতা ধর্ম বর্ণ গোত্র মিলিয়া মিশিয়া শুভ কাজে হবে একাকার। স্বাধীনভাবে নির্ভয়ে যার যার ধর্ম করিব পালন। চোর ডাকাতের ভয়ে দোকানে দিতে হবে না তালা। আগামী দিনে পাখিগুলো মুক্ত আকাশে করিবে বিচরণ। টিনেজ বালিকা মুক্ত বিহঙ্গের মতো আপন মনে পাড়ি দিবে দূর দূরান্ত নির্ভয়ে একা পথ। অতিথি পাখিগুলো শীত শেষে নিরাপদে করিবে প্রস্থান। শত্রু হতে নিরাপদ থাকবে বাংলার আকাশ। প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধা বীরের বেশে বিমানবন্দরে করিবে আগমন, হাসিমুখে করিবে প্র¯’ান। আইন আইনের গতিতে চলবে। সরকারি কর্মচারী জনগণকে মনিব বলে করিবে কুর্নিশ। বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা থাকিবে মাতৃক্রোড়ে নিরাপদ। নদী তার নাব্যতা পাবে ফিরে। বহমান হবে নদী আপন গতিতে। নদ নদী হবে জীবন্ত সত্বা। সুন্দরবনের কেওড়া ও সুন্দরী গাছ বড় হবে আপন গতিতে। বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদী ফিরে পাবে তার নাভ্যতার অধিকার। বুড়িগঙ্গা ও তুরাগের পানি ও বঙ্গোপসাগরে মিশে হবে একাকার। রাজনীতিবিদ সেবক হবে জনগণের। আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে তবে, কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বুঝবে অনেক গড়িয়েছে বেলা, বাড়িয়েছে দেন।
এবার ত্যাগ করিতে হইবে রাজপথ। মুখরিত করতে হইবে মাকড়সার জালে সয়লাব ক্যাম্পাস। কেবল লাল স্বাধীনতা নয়, বুঝিতে হইবে স্বাধীনতা মানে লাল সবুজের স্বাধীনতা। অপরাধকে ঘৃণা করা হবে, অপরাধীকে নয়। কোন এতিম নিজেকে এতিম মনে করবে না। ভিক্ষুক মুক্ত হবে বাংলাদেশ, ভিক্ষা ভিত্তি শব্দ দুটি আজ হতে পারে জাদুঘরে। ফরমালিন মুক্ত হবে বাংলাদেশ, কেবল মাছ ও ফল ফরমালিন মুক্ত নয়, ১৮ কোটি মানুষের মনও হবে ফরমালিন মুক্ত। বাংলাদেশ হবে বৈষম্য মুক্ত। ভারত ও পাকিস্তানের দালালি নয়, আমরা হবো একাত্তরের পক্ষের দালাল। বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা ও জিয়াউর রহমান কোন সুনির্দিষ্ট দল বা গোত্রের নয়, তারা হবে ১৮ কোটি জনতার। আজ হতে আয়ের উৎস রাজনীতি নয়, সুনির্দিষ্ট পেশাই হবে আয়ের উৎস। গাড়ি এবং বিমানের ইঞ্জিন তৈরি হবে এই স্বাধীন বাংলাদেশে। বল প্রয়োগের বাংলাদেশ নয়, সচেতনতা নির্ভর হবে স্বাধীন বাংলাদেশ। লাখো বিদেশি ছাত্র-ছাত্রী প্রতিবছর আগমনে মুখরিত হবে বাংলার ক্যাম্পাস
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্বমানের হবে। বিশ্ব র্যাংকিংয়ের প্রথম ২০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্বাধীন বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ও থাকবে। মাদক, ইভটিজিং, যৌতুক ও নারী নির্যাতন মুক্ত হবে আগামীর বাংলাদেশ। স্বাধীন বাংলায় ক্ষুধা শব্দটি জাদুঘরে থাকবে। কেউ খাবে আর কেউ খাবে না, তা হবে না তা হবে না। সব শিশু যাবে বিদ্যালয়ে, থাকবে না শিশু শ্রম। আগামীর বাংলাদেশ নারী ক্ষমতায়নের বাংলাদেশ। যানজট মুক্ত হবে বাংলা। থাকবে না কোন কুসংস্কার, হবে বিজ্ঞান ভিত্তিক সংস্কার। বিদেশি পরাশক্তি হবে না প্রভু, হবে সবাই বন্ধু।
পৃথিবীর সকল দেশে থাকবে বাংলাদেশের এম্বাসি/হাই কমিশন বা কনস্যুলেট অফিস। পৃথিবীর সকল দেশের এম্বাসি/হাই কমিশন হবে স্মার্ট বাংলাদেশে। ভিসার জন্য আর যেতে হবে না ভারত। পিচ ঢালাইয়ের রাস্তা বন্ধ করে কেউ করবে না জনসভা। বেঁচে থাকার অধিকার ও মৌলিক অধিকার সমান হবে সকলের। হবে যুক্তি নির্ভর বাংলাদেশ। মেধা ও পরিশ্রমের ভিত্তিতে হবে প্রতিযোগিতা। ফসলের সুষম বন্টন হবে। হবে না লঘু পাপে গুরুদন্ড। রাজনীতি যার যার, দেশটা সবার।
আমি নৈরাশ্যবাদী নই, আশাবাদী মানুষ। এক নদী রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীন বাংলাদেশ, অনেক আশা নিয়ে অপেক্ষায় রইলাম, আগামী দিনের স্বাধীন সোনার বাংলা মানে হবে বাক স্বাধীনতার বাংলাদেশ। যে স্বাধীন দেশে কয়েকটি শব্দ সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করার দায়ে হবে না উর্মিদের বিদেশ যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা, হবে না রাষ্ট্রদোহি মামলা, হবে না একাধিক আদালতে মামলা,হবে না সাধারণ মামলাটি অস্বাভাবিক গতিতে প্রতি কার্য্য দিবসে প্রথম অধিকার, হবে না শুনানির তারিখে উদ্দেশ্য প্রমোদিত ভাবে চার্জ গঠনের তোড়জোর। আমি আশাবাদী আগামী দিনের স্বাধীনতা মানে কোমলমতি অনভিজ্ঞতা সততা নিষ্ঠা দায়িত্বশীলতা মেধা বিচার করে ছোট খাটো ভুলের জন্য সকলকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার স্বাধীন বাংলাদেশ।
দেশ প্রেমের বলে বলিয়ান হয়ে, অমর হবে কেয়ামত অবদি এই স্বাধীন বাংলা।
মেহেদী হাসান