
ছবিঃ সংগৃহীত
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে ঢাকা প্রস্তুত। তবে ভারতের দিক থেকে ইতিবাচক উত্তর পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রধান উপদেষ্টার আসন্ন চীন-থাইল্যান্ড সফর নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন।
ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ইউনূস-মোদির বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, "যেকোনো দেশের সঙ্গে শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের বর্তমান পরিস্থিতিতে এই বৈঠকটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে, এবং আমরা আশা করছি যে, যদি বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া স্থবিরতা কাটানোর সুযোগ আসবে।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা এই বৈঠকের জন্য প্রস্তুত আছি। তবে ভারতের দিক থেকে ইতিবাচক উত্তর পাওয়ার অপেক্ষায় আছি।"
ইউনূস-মোদির বৈঠকের জন্য ঢাকা প্রস্তুত, তবে দিল্লি প্রস্তুত কি না, এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, "দিল্লি প্রস্তুত কি না, সেটা দিল্লি বলবে। আমরা এই বৈঠকের জন্য অপেক্ষা করছি।"
সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর নয়াদিল্লিতে সংসদীয় প্যানেলের বৈঠকে বলেছেন, "ড. ইউনূসের সঙ্গে মোদির বৈঠক আয়োজনে বাংলাদেশের অনুরোধ বিবেচনা করা হচ্ছে।" এর মাধ্যমে ব্যাংককে ইউনূস-মোদির বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে ঢাকার কূটনৈতিক মহলে আশাবাদ সৃষ্টি হয়েছে। তারা মনে করছেন, ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলমান টানাপড়েনকে প্রশমিত করতে এই বৈঠক ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে, যা দুই দেশের সম্পর্কের জন্যই ভালো হবে। যদি কোনো কারণে ব্যাংককে বৈঠক না হলেও, ইউনূস ও মোদির সাক্ষাৎ হবে, এমন সম্ভাবনা রয়েছে।
আগামী ২ থেকে ৪ এপ্রিল ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হবে ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন। সম্মেলনে যোগ দিতে ৩ এপ্রিল ব্যাংকক যাবেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস, এবং ৪ এপ্রিল বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।
মারিয়া