
ছবি: সংগৃহীত
সাইয়েদ আব্দুল্লাহ বলেন, আব্দুল হান্নান মাসুদের ওপর যারা হামলা করেছে, তারা ক্রিমিনাল অফেন্স করেছে। তাদেরকে আইডেন্টিফাই করে পুলিশের উচিৎ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ, হান্নান মাসুদের উচিৎ ক্রিমিনাল চার্জ আনা। আব্দুল হান্নান মাসুদ মিডিয়াকে বলেছে তার ওপর হামলা করেছে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত কর্মীরা ( যদিও তার পেইজে লিখেছিলো বিএনপি কর্মীরা)। এমন যদি হয় যে তার ওপর যারা আক্রমণ করেছে, তাদের ভেতর বহিষ্কৃত না, এমন কর্মীও আছে, বিএনপির উচিৎ হবে তাদেরকেও বহিষ্কার করা।
আজ ২৫ মার্চ (মঙ্গলবার) নিজের ফেসবুক পেজের একটি পোস্টে এসব কথা জানান আলোচিত অনলাইন এক্টিভিস্ট এবং সাংবাদিক সাইয়েদ আব্দুল্লাহ।
তিনি আরো বলেন, পলিটিক্যাল বহিষ্কার ইস্যু অনেকসময় আইওয়াশ টাইপ হয়, এজন্যই আমি বলি, বহিষ্কারের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলে লিগ্যাল প্রসেসে নিয়ে আসা। মানে বিএনপি থেকে আগেই বহিষ্কৃত হোক চাই না হোক, কিংবা ইন জেনারেল এলাকার মানুষ হোক — যারাই হোক না কেন, এদের বিরুদ্ধে মামলা করে এই হামলার মূল হোতাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। পলিটিক্যাল দল না হয় বহিষ্কারই করলো, কিন্তু তাতে লোকাল পলিটিক্যাল কাঠামোতে খুব বেশি ইম্প্যাক্ট পড়ে না। সমাধান হলো আইনের আওতায় নিয়ে আসা, পুলিশের পদক্ষেপ নিশ্চিত করা। হান্নান মাসুদের উচিৎ আইনের আশ্রয় চাওয়া পুলিশের মাধ্যমে।
সাইয়েদ আব্দুল্লাহ বলেন, আব্দুল হান্নান মাসুদের বিরুদ্ধে হাজারটা সমালোচনা আছে বা থাকতে পারে— কিন্তু এর কোনকিছুই তার ওপরে হওয়া শারীরিক আক্রমণকে জাস্টিফাই করতে পারে না। অ্যান্ড, জাস্ট এ সাইড নোট, হান্নান মাসুদ তার এলাকার আওয়ামী লিগের নেতাদের এবং ছাত্রলীগের নেতাদের পুনর্বাসন করছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, অনেকে ছবি মার্ক করে করে সেগুলো নামধামসহ উপস্থাপন করছে, সেগুলো নিয়ে হান্নান মাসুদের জবাব দেওয়া উচিৎ। হান্নান মাসুদ নিজেই যদি তাদের এভাবে পুনর্বাসন করার প্রজেক্টে নামে, সেটা খুবই নিন্দনীয় কাজ।
ফারুক