
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বহুল প্রতীক্ষিত সন্দ্বীপ-চট্টগ্রাম ফেরি সার্ভিস চালু হয়েছে। এই যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। স্বাধীনতার পর এত বছরেও নিরাপদ নৌ-সংযোগ গড়ে না ওঠাকে জাতির জন্য ‘লজ্জার’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সোমবার (২৪ মার্চ) সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বলেন, “সন্দ্বীপের মানুষ এতদিন কাদা মাড়িয়ে নৌকা ও বোটে সমুদ্র পারাপার করত। এতদিনেও কেন নিরাপদ যোগাযোগ গড়ে ওঠেনি, সেটা লজ্জার! আজ ফেরি সার্ভিস চালু হওয়ায় সেই কলঙ্ক থেকে মুক্ত হলাম।”
সোমবার সকালে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ঘাট থেকে নৌপরিবহন ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফেরি সার্ভিসের উদ্বোধন করেন।
প্রথম ফেরি সকাল ৯টায় বাঁশবাড়িয়া ঘাট থেকে ২০টি যানবাহন ও উপদেষ্টাদের নিয়ে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায় এবং এক ঘণ্টা ১৬ মিনিট পর গন্তব্যে পৌঁছে।
এসময় নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, ফেরি সার্ভিস চালুর আগে সন্দ্বীপের নৌঘাট দখলমুক্ত করতে হয়েছে। উপকূলীয় এলাকার কারণে এটি ছিল একটি চ্যালেঞ্জিং প্রকল্প। তিনি প্রস্তাব দেন, সন্দ্বীপের শহীদ মাহমুদুর রহমান সৈকত ও সাইমুন হোসেন মাহিনের নামে দুটি ফেরি ঘাটের নামকরণ করা হোক।
আশিক