ছবি: সংগৃহীত
২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ সোমবার (২৪ মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী জনতা দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তদানীন্তন শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল।
বিবৃতিতে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল আকাঙ্ক্ষা ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার। ক্ষুধা-দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও দুঃশাসনমুক্ত দেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সর্বস্তরের জনতা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। লাখো মানুষের রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার ৫৪ বছরে আজ দেশের মানুষের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি হিসাব করলে দেখা যায় বহু প্রত্যাশা এখনও পূরণ হয়নি।’
জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মাধ্যমে দেশ আবার নতুন করে দ্বিতীয়বারের মত স্বাধীনতা অর্জন করেছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের জগদ্দল পাথরের ন্যায় চেপে বসা জালিমের হাত থেকে মুক্ত হয়ে দেশের মানুষ মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে পারছে। দেশের মানুষ কথা বলার অধিকার ফিরে পেয়েছে এবং শান্তিতে-স্বস্তিতে চলাফেরা করতে পারছে। পতিত সরকারের দোসররা এবং দেশের কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল বিদেশি আধিপত্যবাদী শক্তির সহায়তায় ছাত্র-জনতার এই গণআন্দোলনকে ব্যর্থ করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা দেশকে আবার অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে এবং পতিত স্বৈরাচারকে ফিরে আনার অপতৎপরতা শুরু করেছে।’ এমতাবস্থায় শান্তি-স্বস্তির নতুন বাংলাদেশ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে এবং সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
আসন্ন স্বাধীনতা দিবসে দেশবাসীকে অগ্রিম আন্তরিক শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে তিনি যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস পালনের জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সকল শাখা ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে আমি মহান আল্লাহর কাছে দেশবাসীর কল্যাণ কামনা করছি। আল্লাহ তা’আলা আমাদের প্রিয় দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে হেফাজত করুন।’
রাকিব
