
ছবি: সংগৃহীত
হতভাগা এক বাবা মুজিবর রহমান। দুঃসময়ে পাশে পাবেন সেই আশায় একটি ছেলেকে দত্তক নেন। তিনি কিন্তু কে জানতো সেই পুত্রই হবে তার মৃত্যুর কারণ?
আলিশান প্রাসাদের মধ্যে বেড়ে ওঠে পালকপুত্র মহসিন রহমান মিঠু। বড় হয়ে ধীরে ধীরে সম্পদের মোহ জেঁকে বসে তার মধ্যে। শত কোটি টাকার বাড়ি ও মার্কেটের দোকান নিজের নামে করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন কোটিপতি বাবার দত্তক নেয়া পুত্র মিঠু।
সন্তানের সুখের জন্য পালকপুত্র মিঠুকে তিনটি বাড়ি, মার্কেটের দোকান সব দিয়ে রেখেছিলেন মুজিবর। ফলে বাড়ি ও দোকানের ভাড়া সবই আসতো পালকপুত্রের হাতে। বৃদ্ধ মুজিবর রহমান অসুস্থ হলে সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিতে নির্জন ঘরে কয়েক দফায় বালিশ চাপা দিয়েছিল মিঠু আর এর সাক্ষী এলাকার বহু মানুষ।
জানা যায়, মিঠুকে এসব কাজে সহযোগিতা করত বন্ধু বামপন্থী নেতা মোহাম্মদ রবিন রেজা, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বাড্ডা থানার সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ নাজমুল আলম শেখ ও ফায়ার ব্রিগেডের সদস্য শাহিদুজ্জামান শাহেদ- এই তিনজনের মদদে সম্পদের জন্য মিঠু হিংস্র হয়ে ওঠেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পালক সন্তান মিঠু জীবিত থাকা অবস্থায়ই সিটি কর্পোরেশন থেকে তার বৃদ্ধ বাবার মৃত্যু সনদ নিয়েছে। এই সনদ দেখিয়ে তার অনেকগুলো দোকান বিক্রি করেছেন তিনি (মিঠু)। অসুস্থ শ্বশুর মুজিবর রহমানের পক্ষে কথা বলায় প্রথম স্ত্রীকে তিন সন্তানসহ তালাক দিয়েছেন মিঠু। মুজিবরের মৃত্যুতে কুমিল্লা থেকে ছুটে এসে সরকারের কাছে লম্পট স্বামীর বিচার চান তিনি।
আলিশান বাড়ি-গাড়ি আর সম্পদের পাহাড় থাকলেও শেষ পর্যন্ত চিকিৎসার অভাবে ধুকে ধুকে পৃথিবীর মায়া ছেড়েছেন মুজিবর।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=PULBjtzepNg&t=5s
রাকিব