
ছবিঃ সংগৃহীত
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, “পরবর্তী প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে আমাদের বনকে রক্ষা করতে হবে। শুধুমাত্র বন বিভাগ বন রক্ষা করবে না, বন সংলগ্ন এলাকার মানুষকেও বন রক্ষায় সচেতন হতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “যদি বন ধ্বংস হয়, তবে প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য বাঁচবে না এবং অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। বন শুধু আমাদের অক্সিজেনই দেয় না, এটি প্রাকৃতিক খাদ্যও সরবরাহ করে। তাই আমাদের নিজেদের, এলাকার এবং দেশের স্বার্থে বনকে রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি।”
তিনি আজ দুপুরে জাতীয় উদ্যানসহ ব্যবস্থাপনা কমিটির আয়োজনে সহ-ব্যবস্থাপনা দিবস ও বিশ্ব বন দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। "বন বনানী সংরক্ষণ, খাদ্যের জন্য প্রয়োজন"—এ প্রতিপাদ্য নিয়ে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে রবিবার (২৩ মার্চ) লাউয়াছড়ার বাঘমারা ক্যাম্প প্রাঙ্গণে জাতীয় উদ্যানসহ ব্যবস্থাপনা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিনা বেগমের সভাপতিত্বে এবং মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) জামিল মোহাম্মদ খাঁনের সঞ্চালনায় আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম, ট্যুরিস্ট পুলিশের অফিসার ইনচার্জ কামরুল হাসান চৌধুরী, বৃহত্তর সিলেট আদিবাসী ফোরামের কো-চেয়ারপারসন জিডিসন প্রধান সুচিয়াং, কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব আহমেদুজ্জামান আলম, সিএমসি কমিটির কোষাধ্যক্ষ জনক দেববর্মা, লাউয়াছড়া পুঞ্জি প্রধান ফিলা পত্নী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি মিল্লাদ আলী, ও সিপিজি সদস্য বাবুল মিয়া প্রমুখ।
এসময় বন বিভাগের বিভিন্ন বিটের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, সিএমসি'র সদস্য ও সিপিজি'র সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে ২৬ ফেব্রুয়ারি হতে মাসব্যাপী গাছ সুরক্ষা (পেরেক অপসারণ) কর্মসূচীর অংশ হিসেবে জাতীয় উদ্যান এলাকা সংলগ্ন বটতলায় গাছে পেরেক দিয়ে লাগানো বিলবোর্ড অপসারণ করা হয়।
মারিয়া