
ছবি: সংগৃহীত
সিনিয়র সাংবাদিক জিল্লুর রহমান সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন যে, তিনি জাতীয় নাগরিক কমিটির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহকে ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করতেন, তবে তার দেহভঙ্গি বা বডি ল্যাঙ্গুয়েজ তার পছন্দ হয়নি।
তিনি বলেন, আমি হাসনাতকে পছন্দ করতাম, কিন্তু তার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ আমার ভালো লাগেনি।
জিল্লুর রহমান আরও বলেন, সেনাবাহিনীকে নিয়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে, সেটি গ্রহণযোগ্য নয়। ব্যক্তি বিশেষের কিছু সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে, তবে সেনাবাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ নেই। এটি কোনো ‘ফেল স্টেট’ নয়, আমাদের শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী দরকার।
সম্প্রতি হাসনাত আবদুল্লাহ দাবি করেছেন যে, ১১ মার্চ ঢাকার ক্যান্টনমেন্টে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার এবং আরও দু’জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বৈঠক হয়েছিল। সেখানে নতুন রাজনৈতিক কৌশলের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, যার উদ্দেশ্য ছিল ‘পরিশোধিত আওয়ামী লীগকে’ নতুনভাবে রাজনীতিতে পুনর্বাসন করা। হাসনাত তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে একে ভারতের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী সাজানো ষড়যন্ত্র বলে আখ্যা দেন।
এই মন্তব্য প্রকাশের পর দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, ১১ মার্চের ঘটনা তিনি কেন ২১ মার্চ প্রকাশ করলেন? এতদিন চুপ থাকার যৌক্তিকতা কী? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি সংকটময় মুহূর্তে দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার কৌশল হতে পারে।
জিল্লুর রহমান এই প্রসঙ্গে বলেন, আপনারা যে তথ্য প্রকাশ করছেন, তার সময় এবং উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন আছে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অন্ধকারে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা মোটেও ইতিবাচক নয়। আমি মনে করি, আপনারা সীমালঙ্ঘন করে ফেলেছেন এবং দেশকে একটি বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/MpqFYgOj3Cc?si=3zcTMLfwzhgYxx7a
এম.কে.