
ছবি: সংগৃহীত
স্ত্রীর প্রায় ৫৮ লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার ও সৌদি রিয়াল চুরির মামলার প্রধান আসামি স্বামী নাসিরউদ্দিন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৮ এর একটি টিম।
শনিবার (২২ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার শাখারিয়া-আমখোলা সড়ক থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নাসিরউদ্দিন মোল্লা (৪৭) পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ছৈলা বুনিয়া গ্রামের আতাহার মোল্লার ছেলে।
মামলার এজাহারে অভিযোগে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী চম্পা বেগম তার সৌদি প্রবাসী মেয়ের বাসায় বসবাস করেন। অভিযুক্ত নাসিরউদ্দিন তার মেয়ের দ্বিতীয় স্বামী। নাসিরউদ্দিন মাঝে মধ্যেই সৌদি প্রবাসী স্ত্রীর অনুপস্থিতে তার বাড়িতে যাতায়াত করতেন এবং অবস্থান করতেন। ২০২৪ সালের ২২ নভেম্বর তিনি চম্পা বেগমের বাড়িতে আসেন এবং কয়েকদিন অবস্থান করেন। ২৬ নভেম্বর চলে যাওয়ার পর চম্পা বেগম দেখতে পান, তার মেয়ের কক্ষের আলমারির ড্রয়ার ভাঙা। সেখান থেকে স্বর্ণের হার, চেইন, কানের দুলসহ অন্যান্য স্বর্ণালংকার, ডায়মন্ড গয়না এবং সৌদি ৪০ হাজার রিয়াল খোয়া গেছে। যার মোট মূল্য প্রায় ৫৮ লাখ টাকা।
চম্পা বেগম এ বিষয়ে তার মেয়েকে জানালে তিনি নাসিরউদ্দিনকে ফোন করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তখন নাসিরউদ্দিন চুরি করা স্বর্ণালংকার ও রিয়াল ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু পরবর্তীতে তা আর ফেরত না দেওয়ায় চম্পা বেগম ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাফরুল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি (নং-৮/২০২৪) দণ্ডবিধির ৩৮০/১০৯ ধারায় রুজু করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিকে গ্রেফতারের জন্য র্যাব-৮ কে অনুরোধ জানালে তারা অভিযানে নামে এবং তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার নাসিরউদ্দিনকে পটুয়াখালী সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে তাকে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাপ-৮ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, 'এটি একটি আলোচিত চুরির মামলা ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট তাকে হস্তান্তর করা হবে এবং পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
শংকর লাল দাশ/মেহেদী হাসান