ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১

সাংবাদিকদের নবম গ্রেডে বেতন দেওয়ার প্রস্তাব

প্রকাশিত: ১৫:৩২, ২২ মার্চ ২০২৫

সাংবাদিকদের নবম গ্রেডে বেতন দেওয়ার প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

গণমাধ্যমকে স্বাধীন, শক্তিশালী এবং বস্তুনিষ্ঠ করার উদ্দেশ্যে সাংবাদিকদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নবম গ্রেডে বেতন দেওয়ার প্রস্তাব করেছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন। শনিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের কাছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান কমিশনের প্রধান, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল আহমেদ।

বেতন বিষয়ক প্রশ্নে তিনি বলেন, "সাংবাদিকদের আর্থিক নিরাপত্তা দিতে হবে। এই নিরাপত্তা না দেওয়ার কারণে অনেকেই অনৈতিক কাজের সাথে যুক্ত হচ্ছেন। যদিও বেতন-ভাতার ওয়েজবোর্ডে আমাদের এখতিয়ার নেই, তবে আর্থিক নিরাপত্তার জন্য নবম গ্রেড অনুযায়ী একজন সাংবাদিকের বেতন নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।" তিনি আরও জানান, ঢাকায় কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য ঢাকা ভাতা দেওয়ার প্রস্তাবও করা হয়েছে।

কামাল আহমেদ বলেন, “বিসিএস ক্যাডারদের এন্ট্রি ৯ম গ্রেডের যে বেতন, সাংবাদিকতার শুরুর বেতন তা মিলিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এই ব্যবস্থা সারা দেশে বাস্তবায়িত করতে হবে। পাশাপাশি, ঢাকায় কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য ‘ঢাকা ভাতা’ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।”

এছাড়াও, তিনি বলেন, সাংবাদিকতা পেশায় যোগ দিতে হলে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে এবং প্রথমে ‘শিক্ষানবিশ সাংবাদিক’ হিসেবে এক বছর কাজ করার পরই প্রমোশন দেওয়া হবে।

কমিশন প্রধান আরও বলেন, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে "সাংবাদিকতা সুরক্ষা আইন" তৈরির সুপারিশও করা হয়েছে, যার খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। তিনি জানান, সরকারের হিসাব অনুযায়ী, দেশে ৬০০টি পত্রিকা সরকারি বিজ্ঞাপন পাওয়ার যোগ্য, তবে বাস্তবে বিক্রি হওয়া পত্রিকার সংখ্যা মাত্র ৫২টি, যা প্রতারণার মাধ্যমে সরকারি বিজ্ঞাপন লাভ করার বিষয়কে তুলে ধরে।

কামাল আহমেদ আরও জানান, গণমাধ্যমে কালো টাকা প্রবাহিত হয়েছে এবং রাজনৈতিক পরিচয়ে গণমাধ্যমের মালিকানা দেওয়া হয়েছে। সব টেলিভিশন চ্যানেলের আবেদনে জনস্বার্থের কোনো লক্ষণ ছিল না; সবগুলোই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে চালু হয়েছে।

এছাড়া, কমিশন একটি প্রতিষ্ঠানকে শুধুমাত্র একটি গণমাধ্যমের মালিক হতে অনুমতি দেওয়ার প্রস্তাবনা দিয়েছে। "ওয়ান হাউস ওয়ান মিডিয়া" নীতির প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বেতারকে স্বায়ত্তশাসন দেওয়ার জন্য, এবং দুটি প্রতিষ্ঠানকে একত্রিত করে জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা প্রতিষ্ঠা করার সুপারিশ করা হয়েছে। এই সংস্থা স্বায়ত্তশাসন ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। কমিশন, পাশাপাশি, অনলাইন পোর্টালগুলোর জন্য সাতটি সুপারিশও করেছে।

শিহাব

×