
ছবি: সংগৃহীত
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ ও অন্যান্য সদস্যরা তাঁদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেন।
কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্ধারিত সময় ছিল ৩১ মার্চ পর্যন্ত। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ কিছুদিন আগে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, সারা দেশে মতবিনিময় ও জরিপের মাধ্যমে জনগণের কাছ থেকে প্রাপ্ত মতামতগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে তাঁরা সুপারিশমালা তৈরি করেছেন।
গত বছরের নভেম্বরে সরকার গণমাধ্যমকে স্বাধীন, শক্তিশালী ও বস্তুনিষ্ঠ করতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রস্তাব দেওয়ার উদ্দেশ্যে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করে।
কমিশনের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের প্রতিনিধি শামসুল হক জাহিদ, নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সচিব আখতার হোসেন খান, অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন ওনার্স (অ্যাটকো) প্রতিনিধি, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের ট্রাস্টি ফাহিম আহমেদ, মিডিয়া সাপোর্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক সাংবাদিক জিমি আমির, দ্য ডেইলি স্টারের বগুড়া প্রতিনিধি মোস্তফা সবুজ, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের উপসম্পাদক টিটু দত্ত গুপ্ত এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল মামুন।
গত নভেম্বরে গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন বিষয়ে মোট পাঁচটি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছিল, যাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময় ৩১ মার্চ। এর আগেই গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশ ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন।
শিহাব