ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২২ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১

ঈদের পরেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা

বাম দলগুলো নিয়ে বৃহত্তর জোট হচ্ছে

বিকাশ দত্ত

প্রকাশিত: ০০:৩৩, ২২ মার্চ ২০২৫

বাম দলগুলো নিয়ে বৃহত্তর জোট হচ্ছে

..

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বাম দলগুলোকে নিয়ে বৃহত্তর জোট গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঈদের পর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে বলে জানা গেছে। জোট গঠনে দুই একটি নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তবে নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি। জুলাই আন্দোলনের পর দেশের রাজনীতিতে নতুন হিসাব-নিকাশ শুরু হয়েছে। নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা না হলেও এরই মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো জোটবদ্ধ নির্বাচনের লক্ষ্যে সক্রিয় হয়ে উঠছে। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী দলগুলো ছাড়াও নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বাইরে বিকল্প ধারার জোট গঠনের জোর চেষ্টা চলছে। নতুন জোট গঠনের পরপরই শরিক দলগুলোর মধ্যে তিনশত আসন বণ্টন করা হবে। সাংগাঠনিক শক্তি অনুসারে নির্বাচনের জন্য আসন দেওয়া হবে। এক কথায়, দেশ এখন নির্বাচনী জোয়ারে ভাসছে। 

সূত্র জানায়, নতুন জোটে জাসদ, গণফোরাম, ঐক্য ন্যাপ, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মতো দলগুলো আসতে পারে। তবে এখনো নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। তাদের মধ্যে পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা চলছে। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতৃত্বাধীন বাম গণতান্ত্রিক জোটের বাইরে থাকা সমমনা দলগুলোকে জোটে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য এরই মধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। এই জোট ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে দেবে। সেজন্য জোটের বাইরে বাম ঘরানার অন্য যেসব রাজনৈতিক দল রয়েছে, তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে। বৃহত্তর জোট গঠনের পর কোন্ দল কত আসন দাবি করে তা নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং মুক্তবুদ্ধির চর্চায় বিশ্বাসী বিশিষ্টজনদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে।

সূত্র মতে, নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি হলে এবং বিদ্যমান পদ্ধতিতে ভোট হলে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ব্যানারে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা থাকবে। নির্বাচনে দলীয় নেতাদের পাশাপাশি বাম প্রগতিশীল এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ব্যক্তিদের মনোনয়ন দেওয়া হবে। এরই মধ্যে ভোটের জন্য মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের লক্ষ্যে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা নাগরিক ঐক্য এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গেও ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়ে  কয়েক দফা  বৈঠক করেছেন বাম নেতারা। পাশাপাশি গণফোরামের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। বাম নেতারা মনে করেন, আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি শরিকদের খুব বেশি আসন ছাড় নাও দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে গণতন্ত্র মঞ্চের দলগুলো তেমন সুবিধা পাবে না বলে আলাদা অবস্থান নিতে চাইবে। তাই প্রগতিশীল ধারাতেই যুক্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে তাদের।

সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম জনকণ্ঠকে বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। যত দ্রুত নির্বাচন হয়, ততই ভালো। দেশে যে নৈরাজ্য চলছে, একটি নিয়মিত সরকার ছাড়া সেটা থামানো যাবে না। নৈরাজ্যমুক্ত করতে হলে, সন্ত্রাসমুক্ত করতে হলে, মব সন্ত্রাস মুক্ত করতে হলে একটি নির্বাচন এবং একটি রেগুলার গভর্নমেন্ট দরকার। দেশের বিনিয়োগ, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হলে একটি নিয়মিত সরকার দরকার। সেজন্য আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি  নিচ্ছি, নির্বাচন ছাড়া বিকল্প নেই। জনগণের নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশের বিনিয়োগও হবে না, এই অস্থিতিশীলতায় কেউ আসবেও না। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, মব সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, ছিনতাই, ডাকাতি, নারী নির্যাতন এটা বন্ধ হবে না। আমরা মনে করি, নারী নির্যাতনের বিষয় যেটা, সেটা হলো লুটেরা অর্থনীতির সঙ্গে, লুটেরা রাজনীতি মূল্যবোধ, এই জায়গা থেকেই সমস্ত ঘটনা ঘটছে। আমরা নির্বাচনের জন্য তিনশত আসনেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। বাম গণতান্ত্রিক জোটের বাইরে বৃহত্তর জোট গঠনের কথাবার্তা চলছে। কিছুটা অগ্রগতি আছে। ঈদের পরে আরও অগ্রগতি হবে। বাংলাদেশ জাসদসহ আরও কিছু রাজনৈতিক দল আছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সূত্র জানায়, বৃহত্তর জোট গঠন নিয়েও বাম দলগুলোর মধ্যে মতভেদ আছে। অনেকে মনে করছেন, গণফোরাম নাগরিক ঐক্য বামপন্থি দল নয়। অন্যদের অভিমতে ঐক্য করতে হলে কারও না কারও কিছুটা হলেও ছাড় দেওয়া প্রয়োজন। অতীতের সব কথা চাপা দিয়ে এক্ষেত্রে দলগুলোকে এগোতে হবে।

বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বিষয়ে জনকণ্ঠকে বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের জনআকাক্সক্ষা বাস্তবায়নে বুর্জোয়া দলগুলোকে বাদ দিয়ে একটি নতুন জোট গঠনের উদ্যোগ আছে। এরই মধ্যে আমরা আলোচনা শুরু করেছি। সিপিবি, বাসদ, গণফোরামের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। বাম, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল, উদারনৈতিক দলকে নিয়ে ধরনের একটি জোট গঠনের চেষ্টা চলছে। আগামী বৈঠকে কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হবে। নতুন জোটে দ্বিদলীয় ধারার বাইরে বাম প্রগতিশীল দল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী অসাম্প্রদায়িক দল সংগঠন, এমনকি ব্যক্তিকেও ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা থাকবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করছি একটি জোট গঠন করার জন্য। বিএনপি আছে, ধর্মপন্থি দলগুলো আছে, এর বাইরে একটা জোট গঠরে জন্য আলাপ-আলোচনা চলছে। এর আগে যারা আন্দোলনে ছিলাম, কমিউনিস্ট পার্টি, বাসদ, . কামাল হোসেনের গণফোরাম নিয়ে গঠন করা হবে। গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গেও আলোচনা করছি। মাহমুদুর রহমান মান্না, জুনায়েদ সাকীর সঙ্গেও আলোচনা চলছে, আলাদা একটি জোট গঠন করতে পারি কিনা। মনে হয়, আমরা সফল হব। ঈদের পরেই জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটবে ইনশাআল্লাহ। নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ জাসদ।

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের পর দেশের রাজনীতিতে নতুন হিসাব-নিকাশ শুরু হয়েছে। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা না হলেও এরই মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো জোটবদ্ধ নির্বাচনের লক্ষ্যে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বিএনপি জামায়াতে ইসলামী আগামী নির্বাচনকে ঘিরে দেশের ইসলামী দলগুলোকে নিয়ে জোট গঠনের তৎপরতা শুরু করেছে। একই সঙ্গে বাম দলগুলোও নতুন জোট গঠনের চেষ্টায় তৎপর রয়েছে। জোটের পাশাপাশি প্রগতিশীল শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করতে কাজ শুরু করেছে।

বৃহত্তর জোট গঠন নির্বাচন নিয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা তো আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব, আশা করছি। ফলে, দলগতভাবে এক ধরনের রাজনৈতিক প্রস্তুতি তো আছেই। এখন সাংগঠনিক প্রস্তুতি নেওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা অতীতে যে সমস্ত আসনে নির্বাচন করেছি, সেগুলোর পাশাপাশি নতুন  কিছু আসনে আমরা নির্বাচন করব। এগুলো এখনো সুনির্দিষ্ট করিনি। প্রাথমিক প্রস্তুতির কাজ চলছে। ইতোমধ্যে পার্টির আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এক ধরনের পরিচিতি হয়েছে, এটাতে পার্টির জন্য ইতিবাচক একটি জায়গা। মানুষের মধ্যে একটি গ্রহণযোগ্যতার জায়গাটাও তৈরি হচ্ছে। এখন এটাকে আমরা সাংগঠনিকভাবে কতটা কাজে লাগাতে পারব, সেটাই এখন চ্যালেঞ্জ। পার্টিগতভাবে আর গণতন্ত্র মঞ্চভাবে ফরমাল কোনো আলোচনা হয়নি।

বিভিন্ন অঞ্চলে গণসংযোগের কাজ চলছে। সিপিবির নেতৃত্বে বৃহত্তর জোটে যাবেন কিনা বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা তো সবার সঙ্গে যোগাযোগ করছি। ওদের আমরা যখন ঐক্যবদ্ধ হতে বলেছি, তখন তারা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখেছে। তাদের আমরা ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন, সেখানে তাদের আমরা সেভাবে যুক্ত করতে পারিনি। এখন বলে না, ‘সময় গেলে সাধন হবে না গুরুত্বপূর্ণ সময়টা তারা তো নষ্ট করেছে। এখন যোগাযোগ হবে, আলাপ-আলোচনা হবে। ভবিষ্যতে তাদের বিগত আন্দোলন সম্পর্কে অভিজ্ঞতা মূল্যায়ন কী সেটাকে আমরা জানা বা বোঝার চেষ্টা করব। কোথায় কোথায় তাদের উপলব্ধির ঘাটতি ছিল, সেগুলো আমরা জানার চেষ্টা করব। এখন নতুনভাবে দাঁড়াতে হলে ভিত্তিটাকে রাজনীতির দৃষ্টিভঙ্গি কী এগুলো পরিষ্কার আলাপ-আলোচনা হবে।

এক ধরনের প্রাথমিক পর্যায়ের যোগাযোগ চলছে। প্রাথমিকভাবে গণতন্ত্র মঞ্চের ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার চিন্তাভাবনা আছে।

এদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের লক্ষ্যে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা নাগরিক ঐক্য এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গেও বৃহত্তর জোট গঠন নিয়ে  কয়েক দফা বৈঠক করেছেন বাম নেতারা। বাম নেতারা মনে করেন, আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি শরিকদের খুব বেশি আসন ছাড় নাও দিতে পারে। সেক্ষেত্রে গণতন্ত্র মঞ্চের দলগুলো তেমন সুবিধা পাবে না বলে আলাদা অবস্থান নিতে চাইবে। তাই প্রগতিশীল ধারাতেই যুক্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে তাদের।

বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ জনকণ্ঠকে বলেন, ‘বিএনপি কারও সঙ্গে নির্বাচনী জোট করবে এমন ঘোষণা এখনো দেয়নি। এখন তারা যদি একাই নির্বাচন করে, তাহলে গণতন্ত্র মঞ্চকে আলাদা নির্বাচন করতে হবে। ইস্যুভিত্তিক জোট একটা বিষয়, আর নির্বাচনকেন্দ্রিক জোট আরেকটা বিষয়। আলাপ-আলোচনা চলছে, দেখা যাক তা কত দূর আগায়।সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রয়োজন। টাকার খেলা বন্ধ, পেশিশক্তির দৌরাত্ম্য, সাম্প্রদায়িকতা, প্রশাসনের কারসাজিÑ এগুলো মুক্ত করার জন্য যে যে সংস্কার প্রয়োজন, সেই সংস্কার করুক। পাশাপাশি দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুক। সরকার যেন ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে। নির্বাচন যত দীর্ঘায়িত হতে থাকবে, সংকটও তত বাড়বে। তিনি আরও বলেন, তার দল বাসদ বাম গণতান্ত্রিক জোট নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। বাম গণতান্ত্রিক জোট ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে। আর আমরা আমাদের দল থেকে ১০০ জনকে টার্গেট করেছি। আমরা আলাপ-আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেব। বাম গণতান্ত্রিক জোটের বাইরে সমমনা দলগুলো নিয়ে বৃহত্তর জোট গঠনের আলাপ-আলোচনা চলছে। বাংলাদেশ জাসদ, গণফোরামসহ অন্যান্য দল নিয়ে জোট গঠনের চেষ্টা চলছে। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামি দলগুলো ছাড়াও নতুন দল এনসিপি আছে, তাদের বাইরে একটি বৃহত্তর জোট গঠনের চেষ্টা চলছে। সব দলের বাইরে একটি বিকল্প ধারা গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। জোটের নাম এখনো ঠিক হয়নি। আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে বাম গণতান্ত্রিক ঐক্যফ্রন্টএমন নাম আলোচনা চলছে।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা নির্বাচনে সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য যাতে হয়, এজন্য লড়াই করেছি। নির্বাচন করার অপরিহার্য শর্ত হচ্ছে, নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে। এটাসহ যদি পরিবেশ হয়, সরকার যদি ঘোষণা দেয়, তাহলে আমরা অবশ্যই নির্বাচনে অংশ নেব। এক্ষেত্রে আমাদের দল বাম গণতান্ত্রিক জোট এবং অন্যান্য বাম গণতান্ত্রিক শক্তিকে সঙ্গে নিয়েই নির্বাচন করব। আমরা এবং আমাদের সমর্থিত ভালো মানুষ যদি কোথায় দেখি হচ্ছে না, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের শক্তি থাকলেও তাকে আমরা সমর্থন করব। এভাবেই আমরা ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছি। আমাদের সিপিবির দলীয় প্রার্থী হিসেবে ১৫০ আসন হবে। আমরা নির্বাচনটা ডিসেম্বরের আগেই চাই। সময়ের মধ্যে নির্বাচন সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য করার জন্য সংস্কারও করা সম্ভব। এবং আরও আগে নির্বাচনও সম্ভব। দেশের পরিস্থিতি দিন দিন অনেক জটিল হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার সামলাতে পারছে না। সুতরাং এগুলো সামাল দেওয়ার জন্য নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন।

গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা তো বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ- আছি। আমরা বলছি না, কত আসন দিতে হবে। আমাদের দল থেকে ২০ জন প্রার্থী দেওয়ার চিন্তাভাবনা আছে। আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছি। সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু হয়েছে। বাম দলগুলোর নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, স্বাধীনতার পর থেকে দেশ শাসন করেছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি জাতীয় পার্টির মতো বুর্জোয়া রাজনৈতিক দল, যারা মূলত ধনিক শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব করে। যে কারণে সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। এজন্য বুর্জোয়াদের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই জোরদার করতে বাম-প্রগতিশীলদের ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম জরুরি। সেই তাগিদ থেকেই বৃহত্তর জোট গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

×