
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় পুলিশকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া ছিনতাই মামলার আসামী কথিত সাংবাদিক ইকবাল শেখ (৪০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তিনি পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের পাট্টা গ্রামের তাইজেল শেখের ছেলে ও রাজবাড়ী জেলা শাখার জিয়া সাইবার ফোর্সের সহ-কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ মার্চ পাংশা উপজেলার পাট্টা হাইস্কুলের সামনে পাকা রাস্তার উপর থেকে উত্তর বিশ্বাস মাজাইল গ্রামের মিজানুর রহমান ও তার সঙ্গী আব্দুল লতিফ জমি রেজিস্ট্রির জন্য টাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় ইকবাল শেখ, মোঃ তাহের, সোহান বিশ্বাস ও তরিকুল ইসলাম অস্ত্র ঠেকিয়ে তাদের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। ভূক্তভোগীরা চিৎকার করলে ছিনতাইকারীরা তাদের পিটিয়ে আহত করে এবং ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত ২০ মার্চ মিজানুর রহমান বাদী হয়ে পাংশা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-২৮)।
স্থানীয়রা বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে নিজেকে ক্ষমতাধর ভেবে এলাকায় চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত ছিল এ ইকবাল। তিনি নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিতেন। পাংশা উপজেলা প্রেসক্লাবের ১৬ নং সদস্য বলেও প্রচার করতো। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফেসবুক লাইভে ওই ইকবালকে দেখা যায় পুলিশের সাথে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছে। পুলিশকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। বলে আমি সাংবাদিক মফস্বল বার্তার পাংশা উপজেলা প্রতিনিধি।
পাংশা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, সে আমাদের ক্লাবের সদস্য নয়।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে পাংশা মডেল থানার এসআই শফিউদ্দিন, এসআই নজরুল ইসলাম, এসআই শিহাবুদ্দীন, এএসআই পরিতোষ মজুমদার ও এএসআই শফিকুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে পাট্টা এলাকা থেকে ইকবাল শেখকে গ্রেপ্তার করেন।
পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ইকবাল শেখ নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিতেন। তবে প্রকৃতপক্ষে তার কোনো সাংবাদিক পরিচিতি নেই। আসামীকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে বিকেলে রাজবাড়ী আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ফুয়াদ