ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২২ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১

সিটিজেন ইনিশিয়েটিভের বিবৃতি:

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে প্রধান উপদেষ্টার অস্বীকৃতি ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ নিয়ে গভীর উদ্বেগ

প্রকাশিত: ২২:০৫, ২১ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ২২:০৬, ২১ মার্চ ২০২৫

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে প্রধান উপদেষ্টার অস্বীকৃতি ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ নিয়ে গভীর উদ্বেগ

দেশ ও বিদেশের গবেষক, শিক্ষাবিদ ও পেশাজীবীদের সংগঠন সিটিজেন ইনিশিয়েটিভ।রাজনীতিতে সততা, জবাবদিহিতা, ও গণতান্ত্রিক চর্চা, এবং রাষ্ট্রে ন্যায়বিচার ও মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করার প্রয়াসে একটি সিভিল সোসাইটি সংগঠন হিসেবে কাজ করা সিটিজেন ইনিশিয়েটিভ বা সি আই সম্প্রতি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে প্রধান উপদেষ্টার অস্বীকৃতির প্রতিবাদে এক বিবৃতি দিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়,“সিটিজেন ইনিশিয়েটিভ গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে, বাংলাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সম্প্রতি এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন। আমরা মনে করি, এই সিদ্ধান্ত জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা ও জনগণের আত্মত্যাগের প্রতি চরম অবমাননা।

এছাড়া, সিআই উদ্বিগ্ন যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কিছু অংশ ও কিছু জুলাই বিপ্লব নেতার মধ্যে পর্দার আড়ালে আলোচনা চলছে, বিশেষ করে হাসনাত আবদুল্লাহর সঙ্গে। এসব গোপন যোগাযোগ গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিয়ে গুরুতর প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। 
এতে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে, সেনাবাহিনীর একটা অংশ আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে, যা ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করতে পারে।


সিটিজেন ইনিশিয়েটিভ স্পষ্টভাবে বলছে-গণতন্ত্রবিরোধী ষড়যন্ত্র এবং ন্যায়বিচার থেকে আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার যেকোনো প্রচেষ্টা জনগণের আশা ও আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই আওয়ামী লীগকে দায়বদ্ধ করার জন্য দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে, দলটিকে একটি অপরাধী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করতে এবং রাজনীতি থেকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে। আমাদের সুস্পষ্ট অবস্থান হলো, আওয়ামী লীগ জাতীয় নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য মারাত্মক হুমকি।সিটিজেন ইনিশিয়েটিভ জোর দিয়ে বলছে-ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে, কোনো আপোষ বা বিলম্ব গ্রহণযোগ্য নয়”।
 

আফরোজা

×