ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১

গৃহযুদ্ধের দিকে যাওয়ার পরিস্থিতি ছিল,নাহিদ-মাহফুজ ভাইদের জানিয়ে রাখি ওনার সাথে যোগাযোগ হচ্ছে

প্রকাশিত: ১৯:২১, ২১ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ১৯:২৬, ২১ মার্চ ২০২৫

গৃহযুদ্ধের দিকে যাওয়ার পরিস্থিতি ছিল,নাহিদ-মাহফুজ ভাইদের জানিয়ে রাখি ওনার সাথে যোগাযোগ হচ্ছে

সে সময়টা (আগস্ট ২৪) গৃহযুদ্ধের দিকে যাওয়ার পরিস্থিতি ছিল বলে মন্তব্য করেছেন, অন্তবর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

আজ শুক্রবার (২১ মার্চ) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন আসিফ। 

বার্তায় আসিফ বলেন, শামীম ভাই (ছাত্র দলের) আমাকে ওনার (ড. ইউনূসের)  বর্তমান যে পিএস সাব্বির ভাইয়ের নাম্বার দেন। সাব্বির ভাই আমাকে বলেন যে আমি তো স্যারের সাথে নাই। মঈন চৌধুরী নামের একজন তখন স্যারের প্রাইভেট সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করছিলেন। আমাকে মঈন চৌধুরীর নাম্বার দেন। আমি যোগাযোগ করি।

২ তারিখ কি ৩ তারিখ হবে এবং উনার সাথে আমার কথা হয়এবং উনি তখন বলেছিলেন যে স্যারের একটা ছোট সার্জারি আছে। স্যার তখন ফ্রান্সে ছিলেন  এবং পরবর্তীতে আমি ওনাকে ম্যাসেজগুলো ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেছি। আমরা চাচ্ছি এমনটা। স্যারের সাথে কথা বলেন। স্যার আমাদেরকে একটা মেসেজ পাঠান যে তোমরা যেটা করতে চাও আমি তোমাদের সাথে আছি আরকি।

২ তারিখের দিকে স্যার একটা ম্যাসেজ আমাদেরকে পাঠান থ্রু মঈন চৌধুরী কিন্তু তখনো কথা হয়নি। আমার প্রথম কথা হচ্ছে আমি বারবার ইনসিস্ট করছিলাম সরাসরি কথা বলতে। কারণ সবাই অনুৎসাহিত করতে চায় যে স্যার আসবেন না অন্য অপশনস দেখার জন্য।

প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে অন্য কাউকে দেখার জন্য অনেক নামও আসতে ছিল। অনেক নামও সাজেশনে আসতে ছিল। কিন্তু আমার চিন্তাটা ছিল যে, আমাদের যে অর্থনৈতিক ভঙ্গুর পরিস্থিতি, তারপরে একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে আমরা সরকার গঠন করলে সেটার জাতীয় আন্তর্জাতিক যে স্বীকৃতির ব্যাপার আছে, এগুলো আসলে ডক্টর মুহম্মদ ইউনূস ছাড়া পসিবল হবে না।

আমি বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। পরে মঈন চৌধুরী, স্যারের সাথে আমাকে কথা বলিয়ে দেন। সম্ভবত ওনার নাম্বার থেকেই প্রথম কথা বলা হয় এবং স্যারকে অ্যাপ্রোচ করার পর স্যার আমাকে বললেন যে, তোমরা অন্য কাউকে ভাবো। এটা সম্ভবত তিন তারিখ। স্যার কয়েকজনের নামও বললেন যে, তোমরা ওনাদেরকে ভাবতে পারো যাদের দু’য়েক জন আমাদের উপদেষ্টা পরিষদেও আছে এখন।ওনি বলেন যে, তাহলে আমি যখন বললাম যে স্যার আপনাকে ছাড়া হবে না, আপনাকে আসতেই হবে। তখন উনি বললেন যে আমি ভেবে দেখি, তোমরাও ভাবো যদি আবার কোন বেটার অপশন পাওয়া যায় তাহলে আর আমিও ভেবে তোমাদেরকে জানাব।

তিন তারিখতো অনেক কিছু অনিশ্চিত সময় ছিল। একদফা শুধু ঘোষণা হয়েছে কবে পতন হবে, কবে আসবে এটা অনিশ্চিত ছিল। এটাও ডিসিশন নেয়ার ক্ষেত্রে একটা বাধা ছিল।

আমার যথেষ্ট মনে হচ্ছিল যে ওনি ডিনাই করলেও হি ইজ টু এক্সটেন্ট পজিটিভ, যেটা বাকিদের থেকে আসতেছে যে একেবারেই আসবে না। এরকম আরও বলতেছিল যে আসবে না স্যার রাজি হবে না। আমার মনে হচ্ছিল যে এই লোকগুলো তো সবাই স্যারকে পার্সোনালি চেনে। ওনারা বলতেছে, বাট আমরা ইনসিস্ট করি। আমি তখন আসলে বাকিদেরকে জানিয়ে রাখছিলাম যে আমার স্যারের সাথে যোগাযোগ হচ্ছে। এটা কোন কালেকটিভ ডিসিশন ছিল না যে উনাকে আমরা প্রধান উপদেষ্টা করব।

আমি নাহিদ ভাই, মাহফুজ ভাইদেরকে জানিয়ে রাখি যে আমার ওনার সাথে যোগাযোগ হচ্ছে দেখি এটা কোথায় যায়। আর সবার কাছেই তো তখন সময় টান্সফার টাইম ছিল যে কখন পতন হবে, কখন সরকার হবে। আসলে বিষয় ছিল ঐ সময়টাতে আমাদের মনে হচ্ছিল না যে পাঁচ অগাস্ট পতন হবে। আরও হয়তো দীর্ঘ সময় আমাদের লড়াই করতে হতে পারে। সব ধরনের সম্ভাবনাই ছিল। এটা একটা গৃহযুদ্ধের দিকে যাওয়ার পরিস্থিতিও ছিল ঐ সময়টাতে।

 

ফুয়াদ

×