ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২২ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে রাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

রাবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ১৮:৩০, ২১ মার্চ ২০২৫

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে রাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার (২১ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। পরে নগরীর কাজলা মোড় হয়ে তালাইমারির বিজয় ২৪ চত্বরে গিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। 

এসময় তারা, 'আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ, করতে হবে করতে হবে ', 'অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন', 'বিচার নিয়ে তালবাহানা, চলবে না চলবে না ', 'শেইম শেইম, ওয়াকার' 'দালালি না রাজপথ? রাজপথ রাজপথ', 'আমার ভাই কবরে, খুনী কেন বাহিরে' প্রভৃতি স্লোগান দেন। 

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাবির সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের প্রশ্ন তো আমরা ৫ আগস্টেই নিশ্চিত করে ফেলেছি। আওয়ামী লীগকে বাংলার মাটিতে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগ যদি দেশের রাজনীতিতে ফিরে আসতে চায়, তাহলে ২ হাজার শহীদের প্রাণ ফিরিয়ে দিতে হবে। ৩০ হাজার আহত ও পঙ্গুত্ব বরণকারী ভাইদের হাত-পা ফিরিয়ে দিতে হবে, দৃষ্টিশক্তি হারানো ভাই-বোনদের চোখ ফিরিয়ে দিতে হবে। তাছড়া গত ১৫ বছরে ফ্যাসিবাদী কায়েমের জন্য যে গুম-হত্যা করা হয়েছে তাদের জীবন ফিরিয়ে দিতে হবে। তারপর আওয়ামী লীগ রাজনীতি করবে কি না সে সিদ্ধান্ত জনগণ নিবে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন দিতে সেনাবাহিনীর ক্যান্টনমেন্ট হোক, সেনাবাহিনীর বড় কর্তা হোক বা আওয়ামী লীগের দোসর কোন রাজনৈতিক দল হোক তাদেরকে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা জুলাই ভুলি নাই, আওয়ামী লীগের প্রশ্নে যদি জুলাইয়ের মতো আরও একটি বার মাঠে নামা লাগে তাহলে দল-মত নির্বিশেষে আবারও আমরা এক থাকবো ইনশাআল্লাহ।

আরেক সমন্বয়ক মেহেদী সজীব বলেন, "আমি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, যেদিন আবু সাঈদের রক্তে রংপুরের জমিন লাল হয়েছে, সেদিনই আওয়ামী লীগ রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে। একটি রাজনৈতিক দল যখন রাজনীতি বাদ দিয়ে গণহত্যা, গুম, খুন ও ত্রাসের রাজনীতিতে মেতে উঠে, তখন সেটাকে নাৎসি পার্টি হিসেবে নিষিদ্ধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকতে পারে না। আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে এই বাংলার মাটিতে শুধু জলপাই কালারের কেউ নয়, কোনো রাজনৈতিক দল আবির্ভাব হয়, আমরা ছাত্র-জনতা কোনোভাবেই এটি বরদাস্ত করব না। জুলাইয়ের দুই হাজার শহিদের রক্তের সাথে আমরা বেঈমানি করতে পারি না। অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, আওয়ামী লীগ প্রশ্নে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে রাজি নই, অবিলম্বে তাদের বিচার নিশ্চিত করুন।"

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাবি শাখার সমন্বয়ক মাহায়ের ইসলামের সঞ্চালনায় এসময় বিশ্ববিদ্যালয় ও আশেপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২ শতাধিক শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

আবীর

×