বিয়ের তিন মাস না যেতেই লাশ হয়ে ফিরল মাফিয়া, স্বামী পলাতক

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্বামী মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে স্ত্রী মাফিয়া বেগমকে (১৬) হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বিয়ের তিন মাস না যেতেই মর্মান্তিক এ ঘটনায় মাফিয়ার পরিবারে শোকের মাতম চলছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে লতাচাপলী ইউনিয়নের পাঞ্জুপাড়া গ্রামের স্বামীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তবে মাফিয়ার পরিবার এটি হত্যা বললেও মেহেদীর পরিবারের দাবি এটি আত্মহত্যা। তবে অভিযুক্ত স্বামী মেহেদী হাসান এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। 

মাফিয়ার মা হাফিজা বেগম ও ভাই বনি আমিনসহ তাদের পারিবারের সদস্যদের অভিযোগ, প্রায় ৩ মাস আগে পারবারিকভাবে একই গ্রামের মেহেদী হাসানের সঙ্গে মাফিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই মেহেদী মাফিয়াকে স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন করে আসছে। গতকাল দুপুরে মাফিয়া তার ছোটবোন মারিয়াকে স্বামীর বাড়িতে ডেকে নেয়। মারিয়া ওই বাড়িতে গিয়ে দেখতে পায় মাফিয়াকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। বাড়িতে এসে সে সবাইকে বিষয়টি জানায়। এক পর্যায়ে রাত সাড়ে আটটার দিকে মেহেদী তার শ্বশুরকে মোবাইল করে জানায় মাফিয়া গলায় দড়ি দিয়েছে। পরে মাফিয়ার মা হাফিজা বেগম ও বাবা হারিছ মিয়া জামাই বাড়িতে গিয়ে মাফিয়াকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে কুয়াকাটা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। তবে মাফিয়ার পরিবার এটিকে হত্যা বললেও মেহেদীর পরিবারের দাবি মাফিয়া সবার অগোচরে ঘরের দোতলায় গিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

মহিপুর থানার ওসি তদন্ত অনিমেষ চন্দ্র জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।