
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে রফিকুল ইসলাম নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক মোছাম্মৎ রোকশানা বেগম হেপী এ রায় দেন। পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ছয় মাস করাদণ্ডের আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. সাজ্জাদ হোসেন সবুজ এ তথ্য জানিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, কারাগারে আটক আসামি রফিকুলকে রায় ঘোষণার আগে তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তার উপস্থিতিতে বিচারক রায় পড়া শুরু করেন। তখন রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, রফিকুল ইসলাম ২০১৭ সালের ১ অক্টোবর ভোর সোয়া ৬টার দিকে যাত্রাবাড়ী থানাধীন মাতুয়াইল দরবার শরীফ গলির জনৈক সামাদ ভূঁইয়ার টিনশেড, যা আসামির ভাড়া বাসা। ওই বাসায় ভিকটিম জারিয়া আক্তারকে দুই হাত, পা বেঁধে, মুখে কাপড় গুঁজে মুখ বেঁধে, ঘাড় মটকিয়ে পৈশাচিকভাবে ধর্ষণ ও হত্যা করে।
যা প্রসিকিউশন পক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। আসামি যেভাবে একটি ছোট নিরপরাধ শিশুকে নৃশংস ও পৈশাচিকভাবে ধর্ষণ ও হত্যা করেছে, তার এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার এবং পৃথিবীর আলো-বাতাস গ্রহণের কোনো অধিকার নেই। কারণ তার কাছে কোনো নারী ও শিশু নিরাপদ নয়। তাকে এই শাস্তির মাধ্যমে এই ট্রাইব্যুনাল সমাজের সবার মাঝে এই দৃষ্টান্ত ও সংবাদ পৌঁছে দিতে চান যে, নারী ও শিশুদের প্রতি এজাতীয় নৃশংস অপরাধের বিচার হয় এবং হবে।
পরে রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
ফুয়াদ