ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১

নিরাপদ ঈদযাত্রায় পুলিশের পরামর্শ

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০১:০৮, ২১ মার্চ ২০২৫

নিরাপদ ঈদযাত্রায় পুলিশের পরামর্শ

নিরাপদ ঈদযাত্রায় পুলিশের পরামর্শ

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে উদযাপনের লক্ষ্যে নিরাপত্তাবিষয়ক বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স। বৃহস্পতিবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই পরামর্শের কথা জানান।
যাত্রীদের প্রতি পুলিশের অনুরোধ ॥ ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের অনুরোধ জানিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পর্যাপ্ত সময় নিয়ে ঈদের ভ্রমণ পরিকল্পনা করুন। ভ্রমণকালে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনায় রাখুন। চালককে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালাতে তাগিদ দেবেন না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে বাসের ছাদে কিংবা ট্রাক, পিকআপ ও অন্যান্য পণ্যবাহী যানবাহনে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকুন।

রাস্তা পারাপারের ক্ষেত্রে জেব্রা ক্রসিং অথবা ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার করুন। যেখানে জেব্রা ক্রসিং বা ফুট ওভারব্রিজ নেই সেখানে যানবাহনের গতিবিধি দেখে নিরাপদে রাস্তা পার হোন। প্রয়োজনে পুলিশের সহায়তা নিন। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাবেন না। অপরিচিত কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে খাবার/পানীয় গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন।
ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে বাস মালিকদের প্রতি কিছু অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, বাস মালিকদের প্রতি অনুরোধ অদক্ষ, অপেশাদার, ক্লান্ত বা অসুস্থ চালককে যাত্রীবাহী বাস ও গাড়ি চালাতে দেবেন না। চালক যেন নিয়ম মেনে গাড়ি চালায় এবং ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিং না করে সেজন্য চালককে নির্দেশ দিন। ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় বের করা যাবে না। 
বাসচালকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়েছে ওভারস্পিডে গাড়ি চালাবেন না, ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিং করবেন না। ক্লান্তি, অবসাদ বা অসুস্থ অবস্থায় গাড়ি চালাবেন না। ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সবসময় সঙ্গে রাখুন। বাসে অতিরিক্ত যাত্রী তুলবেন না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে নৌযানে না উঠতে অনুরোধ জানিয়েছে। নৌযানের ছাদে যাত্রী হয়ে ভ্রমণ করবেন না।

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌযানে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকুন। যাত্রাপথে ঝড় দেখা দিলে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি না করে নিজের জায়গায় অবস্থান করুন। স্পিডবোটে ভ্রমণের ক্ষেত্রে লাইফ জ্যাকেট পরিধান করুন।
নির্ধারিত সংখ্যক ও নির্ধারিত গ্রেডের মাস্টার ও ড্রাইভার দিয়ে নৌযান পরিচালনা করুন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় নৌযান চলাচল বন্ধ রাখুন। নৌযানের মাস্টার ব্রিজে যাত্রী সাধারণের অবাধ চলাচল বন্ধ করার জন্য দু’পাশ অস্থায়ীভাবে বন্ধের ব্যবস্থা করুন। লঞ্চে পর্যাপ্ত বয়া রাখুন। আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে নৌযান নিয়ে বন্দর ত্যাগ করুন। ডেকের ওপর যাত্রীদের বসার স্থানে মালামাল পরিবহন থেকে বিরত থাকুন।

পর্যাপ্ত সংখ্যক বয়া/লাইফ জ্যাকেট নৌযানে রাখুন। যাত্রাপথে ঝড়ের আশঙ্কা দেখা দিলে নৌযানকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিন বা তীরে ভিড়িয়ে রাখুন। নৌযানে মোবাইল ফোন ও রেডিও রাখুন এবং নিয়মিত আবহাওয়ার বুলেটিন শুনুন। প্রয়োজনে আবহাওয়া সংক্রান্ত অ্যাপ ব্যবহার করুন। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া নৌযান পরিচালনা থেকে বিরত থাকুন। সব ফায়ার পাম্প ও অগ্নিনিরোধক যন্ত্রপাতির সঠিকতা নিশ্চিত করুন।

দুর্ঘটনাকবলিত নৌযান শনাক্তকরণের লক্ষ্যে নৌযানগুলোকে ১০০ থেকে ১৫০ ফুট লম্বা দড়ি সংবলিত বয়া এবং লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা রাখুন। ট্রেনের ছাদে, বাফারে, পাদানিতে ও ইঞ্জিনে ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণ থেকে বিরত থাকুন। ট্রেনে ভ্রমণের সময় পাথর নিক্ষেপ সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। ট্রেনে ভ্রমণকালে মালামাল নিজ দায়িত্বে রাখুন। বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকুন।

প্রয়োজনে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের কন্ট্রোল রুম (০১৩২০০০১৩০০, ০১৩২০০০১২৯৯), হাইওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স (০১৩২০১৮২৫৯৮), রেলওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স (০১৩২০১৭৭৫৯৮), নৌ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স (০১৩২০১৬৯৫৯৮), র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র‌্যাব (০১৭৭৭৭২০০২৯) এবং জেলা পুলিশ সুপার ও থানার অফিসার ইনচার্জদের (ওসি) সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

×