
ভোটার হালনাগাদ করার জন্য সরঞ্জাম দিল ইউএনডিপি
বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হালনাগাদের জন্য ল্যাপটপসহ বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)। ইতোমধ্যে সংস্থাটি প্রায় ৮০ কোটি টাকার ল্যাপটপসহ বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়কে ধরে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি হাতে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ অন্যতম। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের এই প্রকল্পে সহায়তা করছে ইউএনডিপি।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, চলমান হালনাগাদে ইউএনডিপি ল্যাপটপ দিয়েছে (ব্যাগ, হাব ও মাউসসহ) এক হাজার ৩২১টি, ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানার দিয়েছে ৫৭৪টি, আইরিশ স্ক্যানার ৫৬১টি, ক্যামেরা (ট্রাইপড, ব্যাগ, ক্যাবল, চার্জার ও ব্যাটারি) এক হাজার ১০টি। ডকুমেন্টস স্ক্যানার দিয়েছে ৪৬৪টি। এ ছাড়াও ৬৯৯টি সিগনেচার প্যাডের চাহিদার মধ্যে ইউএনডিপি দিয়েছে ৩০০টি। আর বাকিটা পরে দেবে। এ সকল পণ্যের বাজার মূল্য ৮০ কোটি টাকার মতো। এর বেশিরভাগ প্রোডাক্ট মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে।
জাতিসংঘ উন্নয়ন প্রকল্পের (ইউএনডিপি) সহায়তার বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, ইউএনডিপি ইতোমধ্যে একটা নিড এসেসমেন্ট করেছে। একটা টিম পাঠিয়েছিল তারা। তারা সব সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছে। চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদে ইউএনডিপির সহায়তা টাকার অঙ্কে কী পরিমাণ হতে পারে জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব কেএম আলী নেওয়াজ বলেন, ইউএনডিপি আমাদের প্রোডাক্ট দিয়েছে।
তারা তাদের আর্থিক হিসেবে আমাদের তো আর জানাবে না। আর এটা জানতে চাওয়াটাও আমাদের ঠিক হবে না। তবে আমরা যে বুঝতে পেরেছি ইউএনডিপি প্রায় আমাদের ৭০-৮০ কোটি টাকার মতো প্রযুক্তি দিয়ে সহায়তা করছে। এটা আরও বেশি হতো যদি এসব প্রোডাক্টের বিপরীতে কাস্টমস ফি দেওয়া লাগত।
জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার বলেছেন, নির্বাচনে সহায়তা দেওয়ার জন্য গত ডিসেম্বরে আমাদের অনুরোধ করা হয়েছিল। সেই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে কী ধরনের কারিগরি সহায়তা দেওয়া যায় সে জন্য ইউএনর একটি প্রয়োজনীয় মূল্যায়ন দল দুই সপ্তাহ সফর করেছে।
তাদের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ভোটারদের অংশগ্রহণের জন্য ইসিকে শক্তিশালী করা, নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটকে শক্তিশালী করা; যেমন- ভোটার নিবন্ধন, ভোটার নিবন্ধন প্রচার, ভোটার শিখন কার্যক্রম নিয়ে সহায়তা প্রদান করা। তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনকে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহায়তা করছি। আশা করছি এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সেরা নির্বাচন হবে। এক্ষেত্রে নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশন।