
সায়মা ওয়াজেদ পুতুল
মিথ্যা তথ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় চাকরি ও সূচনা ফাউন্ডেশনের নামে চাপ দিয়ে ২০টি ব্যাংক থেকে ৩৩ কোটি টাকা আদায়ের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপ-পরিচালক তাহাসিন মুনোবীল হক বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। এদিন সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
দুদক মহাপরিচালক জানান, প্রথম মামলায় একই সঙ্গে জীবন বৃত্তান্তে ভুয়া যোগ্যতা দেখিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে নিয়োগ লাভের অভিযোগে পুতুলের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করায় মামলা করেছে দুদক।
দ্বিতীয় মামলায় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস ভুক্ত ব্যাংকের সিএসআর খাত থেকে সূচনা ফাউন্ডেশনের নামে ৩৩ কোটি টাকা সহায়তার নামে আত্মসাতের অভিযোগে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।
এর আগে মঙ্গলবার সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ১৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত। এসব হিসাবে ৪৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা রয়েছে। ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
আবেদনে বলা হয়, মা শেখ হাসিনার যোগসাজশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিজস্ব দলিলের বিধি, নীতিমালা ও নৈতিক মানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা উপার্জন করে বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে সায়মা ওয়াজেদ পুকুলের বিরুদ্ধে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সূচনা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং সংশ্লিষ্টরা সংস্থাটির অস্থাবর সম্পদগুলো অন্য জায়গায় হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান নিষ্পত্তির আগে সম্পদ হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত হলে ওই টাকা উদ্ধার করা দুরূহ হয়ে পড়বে। অনুসন্ধানে এ পর্যন্ত পুতুলের স্বার্থসংশ্লিষ্ট অস্থাবর সম্পদের যে তথ্য পাওয়া গেছে, তা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের বিধান মতে অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।