ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১

বাউফলে হাট ইজারা নিয়ে বিএনপি নেতাকে মারধর

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ২১:০৫, ২০ মার্চ ২০২৫

বাউফলে হাট ইজারা নিয়ে বিএনপি নেতাকে মারধর

ছবি: সংগৃহীত

বাউফলের আদাবাড়িয়া ইউনিয়নে হাট ইজারাকে কেন্দ্র করে আলমাস নামের বিএনপির এক সাবেক নেতাকে মারধর করা হয়েছে। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে বাউফল উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের ভিতরে এ ঘটনা এই ঘটেছে। আহত আলমাস নিজেকে উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক দাবি করেছেন।

আলমাস অভিযোগ করেন, "আদাবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জসীম পঞ্চায়েতের ভয়ে হাজীর হাট বাজার ইজারার ফরম কেউ কিনতে সাহস করেনি, সর্বশেষ বিএনপির একাংশ, ইসলামী আন্দোলন এবং জামায়েত ইসলামীর নেতারা আমাকে সমর্থন জানালে আমি তৃতীয় দফায় টেন্ডার ফরম কিনে ৩৭ লক্ষ টাকা সর্বোচ্চ দরে জমা দেই। কিন্তু পে অর্ডারের নাম লেখায় একটু ভুল হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিদ্ধান্ত দিতে পারেননি, তিনি পরে এ বিষয়ে জানাবেন বলেছেন। এরপর ঘটনার সময় আমি উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলাম তখন জসীম পঞ্চায়েতের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল আমার উপর হামলা চালায়। এ ঘটনার ফুটেজ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সিসিটিভিতে রক্ষিত রয়েছে। আমি হামলাকারীদের বিচার দাবি করছি।"

এ বিষয়ে আদাবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ জসীম পঞ্চায়েত বলেন, "এই অভিযোগ সত্য নয়, তাদের পে অর্ডারে ভুল ছিলো, আইন অনুযায়ী আমরা ওই বাজারের ইজারা পাই। আমরা সেটাই জানিয়েছি ইউএনও মহোদয়কে। এরপর উপজেলার সামনে আলমাসের সাথে আমাদের দলের এক ছেলের সাথে কথা কাটাকাটি হচ্ছিলো। বিষয়টি দেখে আমরা তাদেরকে সরিয়ে দেই। আর আমাদের ভয়ে কেউ ফরম কিনছেনা কথাটিও ঢাহা মিথ্যা কথা, ভয়েই যদি হয় তাহলে সে ফরম কিনলো কিভাবে?"

এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলামের বলেন, "আমার সামনে ঘটেনি আমার জানা নেই, আর সিসি ক্যামেরা সচল কিনা সেটাও জানা নেই।"

এ ঘটনায় বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কামাল হোসেন বলেন, "এখনো এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।"

আবীর

×