
ছবি: সংগৃহীত।
রাজধানীর কাওরান বাজারের খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, আমদানি করা আপেল, কমলা, আঙুর ও নাশপাতির দাম একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ৭০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। ক্রেতারাও বিষয়টি স্বীকার করছেন এবং বলছেন, কেজিপ্রতি ২০-২৫ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে।
এক বিক্রেতা বলেন, "গতকাল যে আপেলটি ৩৫০ টাকা ছিল, আজ তা ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নাশপাতি ৩০০ টাকা থেকে কমে ২৮০ টাকায় নেমেছে। আরও দাম কমলে ভালো হবে, কারণ এতে ক্রেতারা উপকৃত হবেন।"
ফলের বাজারে দাম কমার কারণ কী?
সোমবার রাতে সরকারের নতুন এক প্রজ্ঞাপনে আপেল, কমলা, মাল্টাসহ লেবু জাতীয় ফলের আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ৩০% থেকে কমিয়ে ২৫% করা হয়েছে এবং ৫% আগামকর মওকুফ করা হয়েছে।
তবুও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে ফলের দাম
যদিও ফলের দাম কমেছে, তবুও অনেকের জন্য তা এখনও বেশি। এক ক্রেতা জানান,
"আপেল ৪০০ টাকা কেজি, যা সাধারণ মানুষের জন্য বেশি। যাদের প্রয়োজন, তারা কিনছেন, কিন্তু যাদের খেতে মন চাইছে, তারা পারছেন না। আমরা যারা কিনছি, সামান্য পরিমাণ নিয়ে যাচ্ছি। আরেকটু দাম কমলে সবাই স্বাচ্ছন্দ্যে কিনতে পারবে।"
আমদানিকারকদের প্রতিক্রিয়া
আমদানিকারকরা মনে করছেন, এনবিআরের শুল্কহার কমানোর সিদ্ধান্তে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই খুচরা বাজারে আরও দাম কমবে।
এক আমদানিকারক জানান, "একটি কন্টেইনার আপেল আনলে প্রায় ৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা শুল্ক কম পড়বে। আর কমলার ক্ষেত্রে এই পরিমাণ দাঁড়াবে ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। পাইকারি পর্যায়ে আমরা ইতোমধ্যে কম দামে বিক্রি করছি, কয়েকদিনের মধ্যে খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়বে।"
এর আগে, গত ৯ জানুয়ারি জারি করা এক অধ্যাদেশে এসব ফলের সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হলেও কমানো হয়নি। তবে এবার শুল্ক কমানোয় বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
কবে আরও কমতে পারে দাম?
পাইকারি বিক্রেতারা মনে করছেন, আগামী দুই-একদিনের মধ্যে ভোক্তা পর্যায়ে আরও কম দামে ফল পাওয়া যাবে। ফলে সাধারণ মানুষ আরও সাশ্রয়ী দামে পছন্দের ফল কিনতে পারবেন।
নুসরাত