ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১

৭ বছরের শিশু ধর্ষণের দায়ে রফিকুলকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায়

প্রকাশিত: ১৮:৩৭, ২০ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ১৮:৩৯, ২০ মার্চ ২০২৫

৭ বছরের শিশু ধর্ষণের দায়ে রফিকুলকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায়

ছবি: সংগৃহীত

২০১৭ সালের ২ অক্টোবর যাত্রাবাড়ির মাতুয়াইল দরবার শরীফ গলির একটি টিনশেড বাসায় সাত বছরের মেয়ে শিশুকে ডেকে নিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে হাত পা বেঁধে ধর্ষণ করে যুবক রফিকুল। ধর্ষণের পর শিশুটিকে হত্যা করে লুঙ্গি পেঁচিয়ে ঘরের সানসেটের উপর লুকিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। পরে শিশুটি বেঁচে আছে, ছেড়ে দেয়া হবে একথা বলে পরিবারের কাছে ৬ লাখ টাকা দাবি করে ধর্ষক রফিকুল। দীর্ঘ সাত বছর পর বৃহস্পতিবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-৩ এর বিচারক আসামী রফিকুল ইসলামকে ছোট্ট নিরাপরাধ শিশুকে নৃশংস ও পৈশাচিকভাবে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের রায় দেন। রায়ে সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে আসামীকে যাতে দ্রুত ফাঁসি দেওয়া হয় সেই আবেদন জানান শিশুটির বাবা মা।

শিশুটির মা বলেন, "রায়টা যাতে কার্যকর হয় এই দোয়াই করি। আমার আত্মা শান্তি পাইছে, আমি সাত বছর ধরে ঘুমাইতে পারি না, খাইতে পারি না আমি সাড়ে সাত বছর ধরে।"

বাদিপক্ষের আইনজীবীরা জানান রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেছেন ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে এ ধরনের অপরাধ আর হবে না। বাদিপক্ষের আইনজীবী মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, "আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেছে যে এই ধরনের পৈশাসিক অপরাধ যারা করবে সমাজে তাদের পৃথিবীতে বেঁচে থাকার কোন অধিকার নেই।"

নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান উচ্চ আদালত থেকে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী যাতে ক্ষমা না পায় সেই চেষ্টা করা হবে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, "এই আসামীকে নয় এর দুই ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে আসামীকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করে।"

গত বুধবার বনশ্রীতে ছয় বছরের শিশুকে ধর্ষণের দায়ে জাহিদুল নামের এক গৃহ শিক্ষককেও মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল।


সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=7oKVVM3_Nhs

আবীর

×