
ছবি: সংগৃহীত
গতকাল একটি মর্মান্তিক ঘটনা আমাদের কাছে পৌঁছেছে, যা দেশের মানুষের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। পটুয়াখালীতে ঘটে যাওয়া নারী সহিংসতা ও ধর্ষণের এই ঘটনা আমাদের সকলকে গভীর উদ্বেগে ফেলেছে। এর আগে আমরা যেমন আছিয়া নামক ঘটনার কথা শুনেছিলাম, ঠিক তেমনি সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের মা-বোনদের উপর ঘটিত সহিংসতা ও ধর্ষণের ঘটনাগুলি অত্যন্ত দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই ঘটনায় আক্রান্ত কিশোরী একটি শহীদ পরিবারের সদস্য, যার বাবা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছিলেন। তিনি কেবল শহীদ পরিবারের কন্যা হিসেবে নয়, একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে ন্যায্য বিচার প্রত্যাশা করেছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে আমরা এই মর্মান্তিক ঘটনার বিচার দ্রুততম সময়ে নিশ্চিত করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি এবং সাথে সাথে এই ধরনের ঘটনা রোধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করছি।
বর্তমানে, এই ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট দুই আসামির নাম জানা গেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে, এর মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা দাবি জানাচ্ছি যে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপর আসামিটিকেও গ্রেফতার করা হোক এবং কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি বা রাজনৈতিক ক্ষমতার আশ্রয়ে আসামি যেন ফাঁকি দিতে না পারে। যদি তা না হয়, তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি রাজপথে এসে এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানাবে।
আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, পুলিশ এবং পরিবারের সাথে কথা বলেছি এবং তাদের পাশে আছি। জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে তাদের সকল ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে, বিশেষ করে তাদের ভবিষ্যতের শিক্ষাগত সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য। একইসাথে, আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি যে, শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সরকারের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
এছাড়া, এই ঘটনা দেশের শহীদ পরিবারগুলোকে রাজনৈতিক ও সামাজিক অনিরাপত্তার মধ্যে রেখে যাচ্ছে, যা আমাদের গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। সরকারকে অবশ্যই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, "আমরা আশা করছি যে, পটুয়াখালীতে দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামির গ্রেফতার এবং মামলার কার্যক্রম শুরু হবে, যদি না হয়, তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি এর বিরুদ্ধে রাজপথে প্রতিবাদ করবে।"
শেষে, নাহিদ ইসলাম স্পষ্টতই উল্লেখ করেছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি আসামি গ্রেফতার না হয় এবং বিচার কার্যক্রম এগিয়ে না যায়, তবে তারা প্রতিবাদ করবে।
আবীর