ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১

হাসিনা নির্বাচনের মুখোমুখি উন্নয়নকে দাঁড় করিয়েছিলেন,এখন সংস্কারকে দাঁড় করানো হচ্ছে: রুমিন ফারহানা

প্রকাশিত: ০২:৪২, ২০ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ০২:৪৩, ২০ মার্চ ২০২৫

হাসিনা নির্বাচনের মুখোমুখি উন্নয়নকে দাঁড় করিয়েছিলেন,এখন সংস্কারকে দাঁড় করানো হচ্ছে: রুমিন ফারহানা

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক রুমিন ফারহানা এক টকশোতে বলেছেন, “উন্নয়ন, গণতন্ত্র, সংস্কার কিংবা নির্বাচন – এগুলোর মধ্যে কোনো বৈরিতা নেই।”তিনি জানান, এক সময় হাসিনা নির্বাচনের মুখোমুখি উন্নয়নকে দাঁড় করিয়েছিলেন, কিন্তু এখন নির্বাচনের মুখোমুখি সংস্কারকে দাঁড় করানো হচ্ছে।

 “বাংলাদেশে যদি একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তাহলে বিএনপিকে দূরে সরিয়ে রাখার কোনো উপায় নেই,” মন্তব্য করেন তিনি। তবে, প্রশ্ন উঠেছে, “বাংলাদেশে কবে নির্বাচন হবে?”

তিনি এ বিষয়ে বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা তো পরিষ্কারভাবে বলেছেন, ডিসেম্বরেই নির্বাচন হবে। তবে, সে সময়েও তিনি আবার বলেছিলেন, মার্চে হতে পারে। এরপর একে একে বলা হচ্ছে, জুনেও হতে পারে। কিন্তু ২৬ জুন, যেটি বর্ষাকাল, বাংলাদেশে ৫৩ বছরে কখনো বর্ষাকালে ভোট হয়নি।”

এদিকে, রুমিন ফারহানা ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সিলেট মহাসড়কের ভয়াবহ রাস্তা পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, “বিশেষ করে আমার এলাকা, যেখানে রাস্তাঘাটের অবস্থা সত্যিই ভয়াবহ। এমন এলাকার মধ্যে নির্বাচন করা অসম্ভব। গরমের দিনে ছাতা নিয়ে বেরলে কী আর হয়, তবে যারা গ্রামে থাকেন, তাদের জন্য তা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।”

তিনি বলেন, “এগুলো জানেন না, তা নয়। ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসও জানেন। জানিয়ে তিনি জুন বলেছেন, তাই তিনি হয়তো এতো সময় দিতে চান।”

রুমিন ফারহানা মন্তব্য করেন, “এভাবে একে একে এক সময় নির্বাচনের সময় পরিবর্তন করে জনগণের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি করা হয়। এক সময় ডিসেম্বর, কখনো মার্চ, কখনো জুন-এভাবে সময় বারবার পরিবর্তন করা হয়। জনগণের মধ্যে একটি পারসেপশন তৈরি হয়, কিন্তু তারা আসলে জানেন না, কখন নির্বাচন হবে।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব একে একে সরিয়ে নতুন নেতৃত্ব বসানোর প্রচেষ্টা আমরা ২০ বছর আগেও দেখেছি, ওয়ান ইলেভেনের সময়।”

একই অনুষ্ঠানে, তিনি আমেরিকান কূটনীতিক জন ড্যানিলোচ এবং আরেক কূটনীতিকের বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, তারা বাংলাদেশে এসে বলেছেন যে, তারা ওয়ান ইলেভেনের সময় কিছু ভুল করেছেন। তারা জানান, “ওই সময়ে সংস্কারকে অনুসরণ করা হয়নি।”

রুমিন ফারহানা আরও বলেন, “নির্বাচনের মুখোমুখি সংস্কারকে দাঁড় করানো আমাদের মনে করিয়ে দেয় হাসিনা কীভাবে নির্বাচনের মুখোমুখি উন্নয়নকে দাঁড় করিয়েছিলেন। কিন্তু এইভাবে একের সঙ্গে আরেকটি দাঁড় করানো যায় না।”

“আপনি উন্নয়ন বলেন, গণতন্ত্র বলেন, সংস্কার বলেন বা নির্বাচন বলেন—এগুলো একে অন্যের সঙ্গে কোনো বিরোধে নেই। বরং একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সরকার ও সংস্কার, জনগণের কাছে জবাবদিহিতার সঙ্গে আরও কার্যকর হয়ে উঠে।”

এছাড়া, তিনি বলেন, “অনির্বাচিত সরকার সাধারণত জনগণের কাছ থেকে জবাবদিহিতা প্রত্যাশা করতে পারে না, কারণ তাদের একটাই চিন্তা থাকে, ৫ বছর বা ৪ বছর পর দরজায় গিয়ে ভোট চাইতে হবে।”


সূত্র: https://tinyurl.com/2rymuzrk

আফরোজা

×