
ছবি: সংগৃহীত
বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক আনোয়ার হোসেন অভিযোগ করেছেন যে, গোপালগঞ্জের পুলিশ বাহিনী সাধারণ মানুষের কথা শোনে না, বরং ধমক দিয়ে কথা বলে।
সম্প্রতি এক লাইভ আলোচনায় তিনি বলেন, "একটি বিশেষ জেলার পুলিশ বাহিনী যেকোনো ব্যক্তিকে ধমক দিয়ে বসিয়ে দিতে পারে, এমনকি একজন কনস্টেবলও পুলিশের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাকে ধমক দিয়ে কথা বলে।"
আলোচনায় আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, দেশের ব্যবসায়ী সমাজ কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে, যা পুনরুদ্ধারের জন্য প্রয়োজন বলিষ্ঠ সংস্কার ও কার্যকর উদ্যোগ।
তিনি দাবি করেন, "আমাদের দেশে ব্যবসার পরিবেশ আরও উন্নত করা দরকার, যাতে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদে বিনিয়োগ করতে পারেন। কিন্তু বিভিন্ন দুর্নীতির কারণে এই পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি।"
তিনি অর্থ পাচার প্রসঙ্গে বলেন, "দেশ থেকে ২৭ লক্ষ কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে, যা দেশের উন্নয়নের জন্য ব্যবহৃত হলে আমাদের জব মার্কেটের এই দুরবস্থা থাকত না। অথচ রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের কারণে এই অর্থ পাচার হয়েছে এবং এর ফল ভোগ করছে সাধারণ জনগণ ও ব্যবসায়ীরা।"
দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ প্রসঙ্গে আনোয়ার হোসেন বলেন, "এক সময় বাংলাদেশকে ‘ইমার্জিং টাইগার’ বলা হতো। কিন্তু লাগাতার হরতাল, রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতিবাজ নেতাদের অপকৌশলের কারণে বড় বড় বিনিয়োগকারীরা এই দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। ১৯৯২ সালে আমাদের সঙ্গে যেসব দেশ ছিল, যেমন হংকং, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম— তারা আজ কোথায়, আর আমরা কোথায়?"
তিনি পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "পুলিশ বাহিনী যদি নিয়ন্ত্রিত না হয়, তাহলে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে না। পুলিশ এমনভাবে কাজ করা উচিত, যাতে তারা জনগণের বন্ধু হয়, শাসক নয়।"
বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়েও তিনি বলেন, "একসময় কাঁচামরিচের দাম ১,০০০ টাকা পর্যন্ত উঠে গিয়েছিল, তখন সিন্ডিকেট বাজার নিয়ন্ত্রণ করছিল। আজ সেই দাম নেমে এসেছে ৫০ টাকায়। তাহলে বোঝা যায়, বাজার নিয়ন্ত্রণের নামে সিন্ডিকেট কীভাবে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলেছে।"
আনোয়ার হোসেন দাবি করেন, দেশের ব্যবসায়ী সমাজ ও সাধারণ জনগণের কল্যাণে সঠিক নীতি প্রয়োগ করতে হবে, নাহলে অর্থনৈতিক বৈষম্য আরও বাড়বে এবং ব্যবসার পরিবেশ দিন দিন খারাপ হবে।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/_tWD0NaaYCI?si=pdWyvrNXMw-CRqmS
এম.কে.