ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২০ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১

জুলাই আন্দোলনে শহীদের মেয়েকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ

মো. এনামুল হক এনা, উপকূল প্রতিনিধি, বরিশাল

প্রকাশিত: ২২:১৭, ১৯ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ০০:৩৬, ২০ মার্চ ২০২৫

জুলাই আন্দোলনে শহীদের মেয়েকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ

প্রতীকী ছবি

পটুয়াখালী জেলার দুমকিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে এক শহীদের মেয়েকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুমকি থানায় মামলার পর একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের আলগি গ্রামের জলিল মুন্সীর বাড়ির নির্জন বাগানে এ দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে। মামলার অন্যতম আসামি সাকিব মুন্সীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সাকিবের বাবা মৃত মামুন মুন্সি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ছিলেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, জুলাই গণআন্দোলনে ঢাকায় নিহত পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের শহীদ জসীম হাওলাদারের কন্যা সরকারি জনতা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাদের নিজ বাড়ি থেকে নানা বাড়ি যাওয়ার পথে একই গ্রামের মামুন মুন্সির বখাটে ছেলে সাকিব মুন্সী (১৯), সোহাগ মুন্সির ছেলে সিফাত মুন্সী (২০) ও মালেক মুন্সীর ছেলে ইমরান মুন্সী (১৯) তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী জলিল মুন্সীর নির্জন বাগানে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে রাখে।

জুয়ানা যায়, ভুক্তভোগী চিৎকার করলেও নির্জন এলাকা হওয়ায় কারও সাড়া পাননি। এ ঘটনার কথা কাউকে বললে ভিডিও ক্লিপ ও ছবি নেটে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে অভিযুক্তরা চলে যায়।

ধর্ষণের ঘটনার পর ভুক্তভোগী নিজেই বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুমকি থানায় ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯(৩) ধারায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের পর পরই প্রধান আসামি সাকিব মুন্সীকে গ্রেফতার করে কোর্টে সোপর্দ করেছে পুলিশ।

এ বিষয়ে দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাকির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আসামি সাকিব মুন্সীকে কোর্টে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

রাকিব

×