ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২০ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১

 রায়পুরায় এনআইডি সার্ভারের তথ্য বিক্রির অভিযোগে আটক ২

নিজস্ব সংবাদদাতা, রায়পুরা (নরসিংদী) :

প্রকাশিত: ২১:১৬, ১৯ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ২১:৪৫, ১৯ মার্চ ২০২৫

 রায়পুরায় এনআইডি সার্ভারের তথ্য বিক্রির অভিযোগে আটক ২

অবৈধভাবে অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন ব্যাক্তির কাছে এনআইডির তথ্য বিক্রি হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে দিনভর অভিযান পরিচালনা করেছে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা। অভিযানে অবৈধভাবে অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন ব্যাক্তির কাছে এনআইডির তথ্য বিক্রি করার অপরাধে নির্বাচন অফিসে কর্মরত ২ কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে।

আটককৃত দুই ব্যাক্তি হলেন, রায়পুরা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের ডাটা এন্ট্রি  অপারেটর নরসিংদী পৌর শহরের পূর্ব ব্রাহ্মন্দী এলাকার আব্দুল গফুর মিয়ার ছেলে নাহিদুল ইসলাম ও স্ক্যানিং অপারেটর আশিকুল ইসলাম। স্ক্যানিং অপারেটর আশিকুল ইসলাম এর বিকাশ একাউন্টে গেলো ৬ মাসে ১২ লাখ টাকা ও নাহিদুল ইসলামের বিকাশ একাউন্টে ২ লাখ টাকা লেনদেনের প্রমান পায় তদন্ত কমিটির সদস্যরা।

বুধবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সাথে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন রায়পুরা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) দ্বীন মোহাম্মদ রাসেল। এর আগে বুধবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইডিইএ প্রকল্প, ২য় (পর্যায়) পরিচালক (আইটি) উইং কমান্ডার সাদ ওয়ায়েজ তানভীর, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ সিস্টেম এনলিস্ট, আই এস শাখা (এনআইডি) প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, সহকারী মেইনটেনেন্স ইঞ্জিনিয়ার, আইডিইএ প্রকল্প, ২য় (পর্যায়) মোঃ মেহেদী হাসান।

রায়পুরা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) দ্বীন মোহাম্মদ রাসেল বলেন, উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় কর্তব্যরত একজন কর্মী অবৈধ উপায়ে আর্থিক লেনদেনের বিপরীতে নাগরিক তথ্য বিভিন্ন ব্যাক্তিকে হস্তান্তর করে আসছে। জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগ থেকে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা যাচাই করে ২ জনকে আটক করে।

উইং কমান্ডার সাদ ওয়ায়েজ তানভীর বলেন, মঙ্গলবার জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ থেকে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য আসে যে এখানে অবৈধ উপায়ে অর্থের বিনিময়ে নাগরিক তথ্য হস্তান্তর করা হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে এখানে এসে তাদের মোবাইল সুইচ অফ করে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী নেওয়া হয়। আশিকুলের বিকাশ একাউন্টে ১২ লাখ টাকা লেনদেন করার প্রমান পাওয়া যায়। নাহিদুল বিভিন্ন দালালের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে এনআইডি সংশোধন সহ বিভিন্ন কাজ করতো। তার একাউন্টে ২ লাখ টাকার মতো লেনদেন হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা সহ আরও তদন্ত কার্যক্রম চালানোর কথা জানান তিনি।

মেহেদী হাসান

×