
ছবি সংগৃহীত
রাজধানীর মিরপুরে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী সাংবাদিক। সোমবার রাত ১টার দিকে পল্লবী থানার বালুরঘাট এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে তাকে রাতভর সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে এ তথ্য জানান পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
তিনি জানান, এক নারী সাংবাদিক সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগটি তাৎক্ষণিক আমলে নিয়ে অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী নারীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওই নারীকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসেন পল্লবী থানার এসআই আবুল খায়ের। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডিসি স্যার আমাকে ধর্ষণের শিকার নারীকে নিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। এ ঘটনায় তিনি বিস্তারিত জানেন না।
এদিকে মামলার অভিযোগে জানা যায়, ওই নারী সাংবাদিক একটি পত্রিকায় সিনিয়র রিপোর্টার হিসাবে কর্মরত। তিনি এক মাস আগে জানতে পারেন একটি সংঘবদ্ধ চক্র ক্যান্টেনম্যান্টের মাটিকাটা এলাকায় নিরীহ নারী-পুরুষদের এনে প্রলোভন দিয়ে অশ্লীল ভিডিও বানিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায় করে। চক্রটি ধরতে ওই নারী সাংবাদিক নিজেই উদ্যোগ নেন। এ জন্য তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্যে সোমবার রাত ১১টায় মাটিকাটা এলাকার সিঙ্গার শোরুমের গলিতে যাওয়া মাত্র মামলার উল্লিখিত আসামিরা তাকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে টেনেহিঁচড়ে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। রাত ১টার দিকে তাকে মাটিকাটা এলাকা থেকে পল্লবী থানার বালুরঘাট এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে তিন তলার একটি অন্ধকার ফাঁকা রুমে তাকে রাতভর ধর্ষণ করা হয়।
এ ঘটনায় এনামুল হক, হামিদুর রহমান, ছোট ইয়াছিন, বড় ইয়াছিন, শাহীন, রবি, হাসান, আনু ও অজ্ঞাতনামা ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আশিক