ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১

সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত চার হাজার ৫৭ কোটি টাকার টিকিট বিক্রি

কঠিন চ্যালেঞ্জেও ছন্দে ফিরছে বিমান

আজাদ সুলায়মান

প্রকাশিত: ২৩:১১, ১৮ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ২৩:১২, ১৮ মার্চ ২০২৫

কঠিন চ্যালেঞ্জেও ছন্দে ফিরছে বিমান

জনবলের সংকট। নেই প্রয়োজনীয় উড়োজাহাজও

জনবলের সংকট। নেই প্রয়োজনীয় উড়োজাহাজও। এমন সীমাবদ্ধতার মাঝেও গত সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত বাম্পার বিক্রি হয়েছে বিমানের টিকিট। এ পাঁচ মাসেই টিকিট বিক্রি হয়েছে চার হাজার ৫৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকার। মাসিক গড়ে দাঁড়ায় ৯ শতাধিক কোটি টাকায়। এটা বিমানের ইতিহাসে একক মাসের সর্বোচ্চ রাজস্ব আয়।

বিক্রির এ ধারা অব্যাহত থাকলে সামনের মাসগুলোতে আরও বিপুল রাজস্ব আয়ের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। টিকিট বিক্রির পাশাপাশি বিমানের রুট ও যাত্রী বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই চালু হচ্ছে ঢাকা থেকে নারিতা হয়ে কানাডার ভ্যাঙ্কুভার, সিয়াটল, লসএঞ্জেলস ফ্লাইটের ইন্টারকানেকশন। এয়ারপোর্টে যাত্রীসেবায়ও আনা হয়েছে ব্যাপক সংস্কার।

মাত্র ১৮ মিনিটে ফার্স্ট লাগেজ এবং এক ঘণ্টায় লাস্ট লাগেজ ডেলিভারি দেওয়ার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সবচেয়ে বড় টার্গেট- থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং অপারেট করার মতো কঠিন চ্যালেঞ্জ গ্রহণের প্রস্তুতি। এজন্য কেনা হয়েছে বিশ্বমানের টিএলডি কোম্পানির নানা ইক্যুইপমেন্ট। নিজস্ব বহর দিয়েই এবারও হজ ফ্লাইট অপারেট করার ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছে।

এসব পরিচালনার জন্য জনবল নিয়োগ ও প্রশিক্ষণের কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। আবার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সময়সূচি মেনে অফিসে হাজিরা দেওয়া ও ত্যাগ করার বিষয়েও (ওটিপি) কঠোরতা বজায় রাখা হচ্ছে। দুষ্টের দমন শিষ্টের লালন তত্ত্বে সত্যিকার অর্থেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত তিন শতাধিক পদোন্নতি এবং ২৪  জনকে শাস্তির পরিসংখ্যান রয়েছে।
ব্যবস্থাপনার এমন চিত্র দেখে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদ আলম দৈনিক জনকণ্ঠকে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে- এবার ভালো কিছু হচ্ছে, চোখে পড়ার মতো পরিবর্তনও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বলা যেতে পারে, বিমানে এখন ছন্দ ফিরছে।
জানতে চাইলে কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, বিমানের বর্তমান ব্যবস্থাপনাটা আমার কাছে বেশ আশাবাদী মনে হচ্ছে। এখানে রয়েছেন আবদুল মূয়ীদ চৌধুরীর মতো একজন অভিজ্ঞ আমলা, যিনি আগেও বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। তার সুযোগ্য রানিংমেট হিসেবে রয়েছেন ড. সাফিকুর রহমান, যার রয়েছে বিমানেই তিন যুুগেরও বেশি মার্কেটিং বিভাগে কাজ করার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা।

এই দুজনের নেতৃত্বে বিমান সঠিক দিকনির্দেশনায় কাক্সিক্ষত গন্তব্যে ছুটে চলছে। স্বভাবতই আমরা আশাবাদী।  তবে  উদ্বেগ সংশয় ও সন্দিহানও রয়েছে। কেননা, শুধু দক্ষ একজন পাচক হলেই যে রান্না সুস্বাদু ও সুন্দর হবে, এমন নিশ্চয়তা তখনই দেওয়া যায়, যখন তাকে দেওয়া হয় রান্নার প্রয়োজনীয় উপাদান ও মালমসলা।

বর্তমান এমডি ও চেয়ারম্যান তাদের বিশাল অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বিমানকে ছন্দে ফেরানোর চেষ্টায় নিশ্চয় থাকবেন। কিন্তু কিভাবে সেটা সম্ভব? তাদের সামনে এখন সবচেয়ে বড় ও কঠিন চ্যালেঞ্জ হচ্ছে- বিমানের বহরে প্রয়োজনীয় উড়োজাহাজ নেই। বিমানের মতো রাষ্টীয় এয়ারলাইন্স মাত্র গোটা বিশেক উড়োজাহাজ দিয়ে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেবে? 
কাজী ওয়াহিদ মনে করেন, ঠিক এই মুুহূর্তে বিমানের সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত বহরের সংখ্যা বাড়ানোয়। বিমানের আরও অন্তত গোটা দশেক সুপরিসর ও স্বল্প পরিসরের উড়োজাহাজ দরকার। সেটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, ততই মঙ্গল। আমার ভয়টা এখানেই। বিমান সেটা পারবে বলে লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বিমান এখন দুটো উড়োজাহাজ লিজেই নিতে পারছে না। বারবার দরপত্র ডেকেও পাচ্ছে না।

বিমানের যেই ক্রয়নীতি, তাতে লিজাররা বিশ্বাস ও নির্ভর করতে পারছে না। সেজন্য বিমানের উচিত ঠিক আজকেই নতুন আরও অন্তত আটটি ওয়াইড বডি ও দুটি ন্যারো বডির এয়ারক্রাফট কেনার দরপত্র আহ্বান করা। কারণ, সামনে আমাদের অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।

বর্তমানে বাংলাদেশের যাত্রীর সংখ্যা ১২ মিলিয়ন, আগামী দশ বছরে সেটা দ্বিগুণ হয়ে ২৫ মিলিয়নে দাঁড়াবে। তাহলে এই যাত্রীদের মোকাবিলায় বিমানের প্রস্তুতি কোথায়? এই বাস্তবতায় অবশ্যই বিমানের সামনে এখন ক্রুশিয়াল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে- উড়োজাহাজ কেনা। তা নাহলে শুধু দক্ষ এমডি চেয়ারম্যান চেয়ারে বসে থাকলেই বিমানের কোনো পরিবর্তন আসবে না।
জানা গেছে, বিমানের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই সবচেয়ে বেশি নজর দেন মার্কেটিং ও যাত্রী সেবার ওপর। একটি এয়ারলাইন্সের ভিত্তি গড়ে ওঠা এবং টিকে থাকা নির্ভর করে এ দুটোর ওপর। এই বাস্তবতার আলোকেই তিনি রাজস্ব বাড়ানোর জন্য  কিছু পদক্ষেপ নেন। মার্কেটিং পলিসিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনায় বিমান বিগত সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত শুধু টিকিট বিক্রির মাধ্যমে রাজস্ব আয় করেছে চার হাজার ৫৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।

যা আগের ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ছিল দুই হাজার ৯৮২ কোটি ১৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ বিগত পাঁচ মাসে বিমানের টিকিট বিক্রির মাধ্যমে রাজস্ব বেড়েছে প্রায় ৩৭ শতাংশ। একইভাবে কার্গোতেও বেড়েছে রাজস্ব আয়। 
টিকিট বিক্রির রাজস্ব অর্জন সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মূলত অনলাইনে আন্তর্জাতিক বিপণন প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে বিমানের ওয়েবসাইট ভিত্তিক বিপণনের ওপর জোর দেওয়ায় জিডিএসের ব্যয় কমায় রাজস্ব বেড়েছে বলে মনে করেন বর্তমানের আরেক অভিজ্ঞ ও পেশাদার পরিচালক (বিক্রয় ও বিপণন) আশরাফুল আলম। তিনি জানান, অনলাইন টিকিট বিক্রিতে আগে জটিলতা ও প্রতিবন্ধকতা ছিল।

এখন সেটা দূর করা হয়েছে। পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে অনলাইনে বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে যাত্রীরা টিকিট কাটতে পারছেন। হয়তো এতে এজেন্সিগুলো নাখোশ হয়। কারণ, তাদের কমিশনে এক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
তিনি মনে করেন, বিমানের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েই সবাইকে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে। তাছাড়া এখন আর ব্লকিং সিস্টেমও নেই। স্বচ্ছতার মাধ্যমে নিজের মনিটরেই অনলাইনের টিকিটের দাম ও আসনের সার্বিক তথ্য জেনে যাচ্ছেন। ইচ্ছে করলেও কেউ টিকিট হাতে রেখে বলতে পারবে না ‘টিকিট নেই’। এছাড়া প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের বিমানের টিকিটের দামও তুলনামূলক সাশ্রয়ী। শ্রমিকদের জন্য বিশেষ দামের সুযোগ। এ সব কারণেই বিমানের প্রতি মানুষের আস্থা  ও নির্ভরতা বাড়ছে।
জানা গেছে, বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে একটি প্রেস্টিজিয়াস এয়ারলাইন্স হিসেবে বিমানের রুট ও গন্তব্য বাড়ানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। ইতোমধ্যে বিশ্বসেরা জাপান এয়ালাইন্সের সঙ্গে ইন্টারলিংক ই-টিকিটিং চুক্তি করা হয়েছে। টাার্কিশ এয়ারের সঙ্গে এসপিএ চুক্তি স্বাক্ষরের দ্বারপ্রান্তে। জাপান এয়ারলাইন্সের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির ফলে বিমানের যাত্রীরা ঢাকা থেকে বিমানের নিজস্ব ফ্লাইটে নারিতা হয়ে সেখান থেকে কানাডার ভ্যাঙ্কুভার, লসএঞ্জেলস ও ক্যালিফোর্নিয়ার মতো আকর্ষণীয় গন্তব্যে যেতে পারবেন।

আগামী দুই মাসের মধ্যেই সেটা বাণিজ্যিকভাবে ব্যাপক প্রসার লাভ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিমানের বর্তমান টিম লিডার ড. সাফিকুর রহমান। তিনি জানালেন, এ রুটে ঢাকা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যাত্রী মিলবে। একইভাবে ইটাল এয়ারের মাধ্যমে বর্তমান ঢাকা থেকে রোম হয়ে ইউরোপের যে কোনো দেশে যাবার সুযোগ পাচ্ছেন যাত্রীরা। ইতালি রুটে যাত্রী বাড়ার এটাও অন্যতম কারণ। 
বিমানের সিইও আরও সুখবর দিলেন, টার্কিশ এয়ারের সঙ্গে স্পেশাল এগ্রিমেন্টের কিছু শর্তাবলি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এতে বিমানের লন্ডন, টরন্টো ও ইতালির মতো রুটগুলোতে কখনো যদি বিমানের ফ্লাইট অপারেট করা সম্ভব না হয়, তখন সেই যাত্রীদের ব্যাকআপ ফ্লাইট দেবে টার্কিশ এয়ার। যা বিমানের নিরবচ্ছিন্ন ফ্লাইট সূচি ও যাত্রী অধিকার নিশ্চিত করবে।

একই পদ্ধতিতে বর্তমানে ইটাল এয়ারের সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে ঢাকা থেকে রোম হয়ে সেখানকার অভ্যন্তরীণ যে কোনো গন্তব্যে যেতে পারবেন যাত্রীরা। এর বাইরে রোম থেকেও গোটা ইউরোপের যে কোনো গন্তব্যে পৌঁছে দেবে ইটাল এয়ার। এ পদ্ধতিতে রোম ফ্লাইটে প্রতিনিয়ত যাত্রী বাড়ছে। 
যাত্রীসেবার বিষয়টি মাথায় রেখে বিমান গত ছয়মাসে নিয়োগ দিয়েছে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ক্যাডেট পাইলট। কেবিন ক্রুও নিয়োগ চলছে। এছাড়া মৌখিক পরীক্ষা চলছে ট্রাফিক অ্যাসিস্ট্যান্ট পদের শতাধিক পদে। সামনে আরও নিয়োগ দেওয়া হবে লোডার। একই সঙ্গে ফ্লাইটে যাত্রীদের খাবারের মানেও আনা হচ্ছে বৈচিত্র্য। বিশ্বসেরা দুজন শেফ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

তারা শীঘ্রই যোগ দেবেন বিমানের ক্যাটারিং সার্ভিস বিএফসিসিতে। এছাড়া বিমানের জনসংযোগ শাখাকেও গতিশীল ও মিডিয়াবান্ধব করতে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে একজন ডিজিএম ও ম্যানেজারকে। তারাও শীঘ্রই যোগ দেবেন। যাতে সাাংবাদিকদের সঙ্গে বিমানের যোগাযোগটা আরও কার্যকর করা যায়।
জানা গেছে, বিমানের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রাউন্ড হ্যাান্ডলিং যাতে তার পুরানো বদনাম ঘুচিয়ে নতুন ধারায় যাত্রীদের আস্থায় ফিরতে পাওে, সেজন্য ইতোমধ্যে ৬০০ কোটি টাকার বিশ্বমানের ইক্যুইপমেন্ট কেনা হয়েছে। যা এরই মধ্যে বিমানে কমিশনিং করা  হয়েছে। আরও অন্তত তিনশত কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

আগামী জুলাইয়ের মধ্যে এগুলো সেবার অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হলে বিমানে দেখা দেবে নতুন ছন্দ। মূলত থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা নিশ্চিত করে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার সব কৌশলই নেওয়া হয়েছে। নব উদ্যমে বিমান ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে আরও কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে ব্যবস্থাপনায়। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিমান এখন ১৮ মিনিটে ফার্স্ট লাগেজ এবং ৬০ মিনিটে লাস্ট লাগেজ ডেলিভারি দেওয়ার মতো সক্ষমতা অর্জন করেছে বলে বেশ জোর গলায় দাবি করছেন এমডি ড. সফিক।

তিনি বলেন, গড়পড়তায় ৯৭ পার্সেন্টেরও বেশি ফ্লাইটে এই গতিতে লাগেজ ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে। যা নিঃসন্দেহে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার মতো। সাম্প্রতিক সময়ে যারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে যাতায়াত করেছেন, তারা অবশ্যই এটার সুফল পেয়েছেন।
বিমান বহরের এয়ারক্রাফট বা উড়োজাহাজ সংকট সম্পর্কে জানতে চাইলে ড. সফিক বলেন, এই মুুহূর্তে আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে হজ। এবারও আমরা নিজস্ব প্লেন দিয়েই হজ অপারেট করব। এতে হয়তো ম্যানচেস্টার, কুয়েত ও দিল্লিসহ কয়েকটি রুটের ফ্রিকোয়েন্সি কমে হবে দুমাসের জন্য। তারপর বড় চ্যালেঞ্জ হলো বহর বাড়ানো।  এটাই এখন আমাদের জন্য বড় দুশ্চিন্তার বিষয়।

আমরা আপৎকালীন চাহিদা মোকাবিলায় লিজেই দুটো মিড রেঞ্জের এয়ারক্রাফট নেওয়ার জন্য দরপত্র ডেকেছি। আশা করছি, এবার পেয়ে যাব। তারপরেও আমাদের মূল টার্গেট যে কোনো মূল্যে  মাঝারি  ও বড় সাইজের আরও কয়েকটা প্লেন কেনার। আমি নিজেও এ বিষয়ে চেয়ারম্যানের কাছে বলেছি, ঠিক এই মুুহূর্তে আমাদের আর ৫/৬টা প্লেন থাকত, তাহলে দেখিয়ে দিতাম এয়ারলাইন্স কীভাবে ঘুরে দাঁড়ায়। তবে আমি আশাবাদী, আমরা প্লেন কিনতে সক্ষম হব।

×