
ছবি: সংগৃহীত
ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় দীর্ঘসূত্রিতার কারণে প্রায় ৯৫ পার্সেন্ট আসামীর শাস্তি হয় না। পুলিশ প্রতিবেদন ও সাক্ষী জটিলতার কারনে বছরের পর বছর এই মামলাগুলো ঝুলে থাকে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটররা। অপরদিকে ডিএনএ টেস্ট করার জটিলতার কারণেই পুলিশ প্রতিবেদনে সময় লাগে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
ঠাকুরগাঁও এর একটি আলোচিত ধর্ষণ মামলার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে সেখানকার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের পিপি ইন্তাজুল হক বলেন, পুলিশ যদি ১৫-কার্য দিবসের মধ্যে এই মামলার প্রতিবেদন জমা দিতে পারে তাহলে আমরা এটাকে দ্রুত নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে পাঠাতে পারি।
এই বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, চাইলে একদিনেই রিপোর্ট দেওয়া সম্ভব তবে এখানে ডিএনএ টেস্টের ব্যাপার আছে। ডিএনএ টেস্ট রিপোর্ট আমরা যদি দ্রুত পাব তত দ্রুতই প্রতিবেদন দিতে পারব।
তবে ডিএনএ টেস্টের কার্যক্রম যথেষ্ট জটিল বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ডাক্তাররা বলছেন কোন কোন টেস্টের জন্য এক মাসের বেশিও সময় লেগে যাচ্ছে। সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি শম্পা ইয়াসমিন বলেন, আমাদের রিপোর্টের জন্য যতটুকু সময় দরকার ততটুকু তো দিতেই হবে। তবে আমরা ইমার্জেন্সি মামলা গুলোর জন্য প্রউরিটি দিয়ে কাজ করি। যেসব মামলা গুরুত্বপূর্ণ এবং সেনসিটিভ সেগুলোর রিপোর্ট আমরা আগে দেওয়ার চেষ্টা করি।
ঢাকা জেলা ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি ওমর ফারুক ফারুকী, বলেন দেরি হওয়ার কারণে বেশিরভাগ মামলায় সাক্ষী পাওয়া যায় না। ফলে আলামত নষ্ট হয়ে যায়, যার কারণে আসামিরা শাস্তি পাওয়ার পরিবর্তে খালাস পায়।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=xzhl698M2PQ
ফারুক