
ছবি: সংগৃহীত
সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান একটি টেলিভিশন টকশোতে বলেন, পুলিশ ফোর্স এর উপরে যে আক্রমণ হয়েছে, ২০০ বছরের ইতিহাসেও এমন কোন আক্রমণ হয়নি। অধিকাংশ থানা লুট করা হয়েছে, অসংখ্য থানায় আগুন দেওয়া হয়েছে। তাদের প্রতি মানুষের ঘৃণা ছিল, কিন্তু যারা আগুন দিয়েছে তারা সবাই কি সাধারণ মানুষ বা আন্দোলনকারী? যাদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে, তারা বেশিরভাগই ক্রিমিনাল। অর্থাৎ এই আন্দোলনের বিশৃংখল পরিস্থিতিতে ক্রিমিনালরা এই সুবিধাটা নিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পুলিশের চাকরি করতে মধ্যবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন আসে। কোন জমিদার ব্যবসায়ীর ছেলেরা এখানে আসে না। চাকরির নিয়োগ থেকে শুরু করে পদোন্নতি সব জায়গায় দুর্নীতির একটি জাল বিছিয়ে রাখা হয়েছে। যে কারণে যখনই কোন ইলিগ্যাল বা অবৈধ অর্ডার দেয়া হয় তখন তারা সেটা মানতে বাধ্য হয়।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশে সংঘটিত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক সমালোচনা হয়, যা দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে বাধার সৃষ্টি করে। পুলিশ বাহিনী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার মূল নিয়ন্ত্রক হওয়ায় তাদের সঠিক কার্যক্রম ব্যাহত হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। যা দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার জন্য বাধার সৃষ্টি করছে। যেহেতু পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সবচেয়ে কাছের নিয়ন্ত্রক। তারা ঠিকভাবে কাজ করতে না পারলে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা খুবই কঠিন হবে।
ফারুক