ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১

বিএনপি, জামায়াতও উপদেষ্টাদের ফোন দিয়ে তদবির করে! : আখতার হোসেন

প্রকাশিত: ০৭:০৩, ১৮ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ০৮:২৩, ১৮ মার্চ ২০২৫

বিএনপি, জামায়াতও উপদেষ্টাদের ফোন দিয়ে তদবির করে! : আখতার হোসেন

ছবি:সংগৃহীত

আখতার হোসেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব, সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টক শোতে অংশ নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে তার মতামত তুলে ধরেছেন। তিনি এনসিপির অবস্থান, সুশাসন, নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং রাজনৈতিক বন্দোবস্ত নিয়ে আলোচনা করেন। 


আখতার হোসেন বলেন, "আমরা কিছু অভিযোগের কথা বলছি, সেগুলো সত্য নাকি মিথ্যা তা নিয়ে আমরা বিচার করছি না। তবে এটা স্পষ্ট যে, আগের সরকারের মতোই কিছু সমস্যা এখনও বিদ্যমান।"


তিনি সাম্প্রতিক সময়ে আউটসোর্সিং নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এনসিপির নেতাদের নামে সুপারিশের অভিযোগের কথা উল্লেখ করেন ।
আখতার হোসেন বলেন, এনসিপির মূল লক্ষ্য ছিল মেধার ভিত্তিতে দেশ পুনর্গঠন এবং সরকারি চাকরিতে মেধাবীদের মূল্যায়ন। তবে তিনি স্বীকার করেন যে, আউটসোর্সিং নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনো পরীক্ষা বা সঠিক ব্যবস্থা নেই। তিনি বলেন, "এই নিয়োগগুলো ঠিকাদারদের মাধ্যমে হয়, যেখানে সুপারিশের ভূমিকা থাকে। যদি আমাদের নেতারা বিধি ভঙ্গ করে থাকেন, তবে আমরা দলীয় ব্যবস্থা নেব। তবে যদি তা বিধিগতভাবে বৈধ হয়, তাহলে মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে তাদেরকে টার্গেট করা উচিত নয়।"


তিনি মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেন এবং বলেন, "মিডিয়ায় অনেক সময় এমন খবর আসে, যা পরে আর টিকে থাকে না। এটি একটি বড় প্রশ্ন।" তিনি এনসিপির একজন সংগঠক আব্দুল আল বাবুন ফয়সালের উদাহরণ দেন, যাকে মিডিয়ায় আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছিল। তিনি বলেন, "আমরা জানি, তিনি দীর্ঘ সময় ধরে ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। তার ভাই আওয়ামী লীগ বা বিএনপিতে থাকলেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে সবসময় ছাত্রদের পক্ষে ছিলেন। মিডিয়ার এমন সংবেদনশীল বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত।"


আখতার হোসেন রাজনৈতিক তদবির ও সুপারিশের সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, "পুরাতন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে তদবির একটি বড় বিষয় ছিল। মন্ত্রী, উপদেষ্টা এবং নেতারা প্রায়ই তদবিরে জড়িত থাকেন। আমরা নিজেরাও অনেক সময় সুপারিশ করি, কারণ যখন কেউ আমাদের কাছে আসে এবং বলে যে তারা বঞ্চিত হয়েছে, তখন আমরা স্বাভাবিকভাবেই তাদের জন্য সুপারিশ করি।" তিনি আরও যোগ করেন, "এই সংস্কৃতি ভাঙতে হবে। এনসিপি নতুন বন্দোবস্ত তৈরি করতে চায়, যেখানে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে।"

 

 

 

 

 


তিনি স্বীকার করেন যে, নতুন বন্দোবস্ত তৈরি করতে গিয়ে এনসিপি কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। তিনি বলেন, "আমরা পুরাতন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত থেকে বেরিয়ে আসতে চাই, কিন্তু এখনও কিছু ক্ষেত্রে আমরা সেই পুরনো পদ্ধতিতে ফিরে যাচ্ছি। যেমন, আমরা রাস্তা বন্ধ করে মিটিং করেছি, যা পুরনো রাজনীতির অংশ।"

 

আঁখি

×