ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১

বঙ্গোপসাগরে চোখ পড়েছে বড় শক্তিগুলোর

প্রকাশিত: ০০:০২, ১৮ মার্চ ২০২৫

বঙ্গোপসাগরে চোখ পড়েছে বড় শক্তিগুলোর

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও সামরিক নৌপথগুলোর মধ্যে অন্যতম বঙ্গোপসাগর। বর্তমানে বিশ্ববাণিজ্যের ৯০ শতাংশই সমুদ্রপথে সম্পন্ন হয়। ফলে বঙ্গোপসাগরের গুরুত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে।

এই সাগরের চারপাশে রয়েছে পাঁচটি দেশ। এসব দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় দেশ ভারত, যা জনসংখ্যাতেও শীর্ষে।

এই বঙ্গোপসাগর ঘিরে এখন বিশ্বের সব বড় পরাশক্তির নজর। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম দ্য ডিপ্লোমেট-এর মতে, বঙ্গোপসাগরের খনিজ সম্পদের সঠিক আহরণ ও ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ আগামী দিনে একটি এনার্জি সুপার পাওয়ারে পরিণত হতে পারে।

এই অঞ্চলে বর্তমানে যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে, তার একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র বঙ্গোপসাগর। মিয়ানমার নিয়ে চীনের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে, যার মূল কারণ বঙ্গোপসাগরের ভূকৌশলগত গুরুত্ব। এখানে প্রবেশ করতে হলে মিয়ানমারের প্রয়োজন চীনের।

এই অঞ্চলের দিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনেরও রয়েছে নজর। অন্যদিকে, চীন প্রতিযোগী দেশগুলোর নৌবাহিনীর ওপর নজরদারি করতে চায়। সে কারণে মিয়ানমারের কোকো দ্বীপ ও শ্রীলঙ্কায় রাডার স্টেশন নির্মাণ করতে চায় চীন। 

চীনকে মোকাবিলায় বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি অঞ্চলে নৌ উপস্থিতি রাখতে চাইছে আমেরিকা। টেকনাফের ওপারেই আরাকানে নিবিড় দৃষ্টি রাখছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারতকে ঘিরে এই অঞ্চলে বিভিন্ন বন্দর নিজেদের দখলে নিয়ে সেখানে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে চায় চীন।

কলম্বো বন্দরের একাংশের উন্নয়ন করছে চীন, আরেক অংশ করছে ভারতের আদানি গ্রুপ। সেখানে আবার যুক্তরাষ্ট্রেরও রয়েছে অর্থায়ন। আর এভাবেই বাংলাদেশ সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর হয়ে উঠেছে বড় শক্তিগুলোর খেলার মাঠ। বঙ্গোপসাগরের ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ।

বঙ্গোপসাগর এখন কেবল একটি সাগর নয়, এটি পরিণত হয়েছে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর প্রতিযোগিতার এক জটিল অঙ্গনে। আগামীতে এই অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক অবস্থান কীভাবে পরিবর্তিত হয়, সেটিই এখন লক্ষণীয় বিষয়।

শিলা ইসলাম

×