
অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট আসিফ সৈকত আজ (১৭ মার্চ) তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে আছিয়ার ধর্ষণের ফরেনসিক রিপোর্টের ডিটেইলস জানতে চেয়ে এক প্রতিবাদী পোস্ট করেছেন।
আসিফ সৈকত বলেন,“আমি আছিয়া নামক বাচ্চাটার ধর্ষণের ফরেনসিক রিপোর্টের ডিটেইলস জানতে চাই। তার ধর্ষণের আদ্যোপান্ত জনসম্মুখে উন্মুক্ত করা হোক। ধর্ষণের আলামত , সিমেন এনালাইসিস , ডিএনএ রিপোর্ট কি বলেছে - বিষয়গুলো উন্মেচিত হওয়া অতীব জরুরী ।
”আসিফ সৈকত আরো বলেন,আছিয়া আমাদের ছোট্ট মেয়ে ছিলো, সে এখন আল্লাহর হেফাজতে আছে , নিরাপদে আছে ।
সেই সাথে অন্যান্য ইস্যু নিয়েও কথা বলেন আসিফ সৈকত। তিনি জানান,“এই ছোট্ট মেয়েটার ধর্ষণ কে কেন্দ্র করে শাহবাগ এক্টিভেট হয়েছে , চাপা পড়ে গেছে ইসলাম অবমাননা , রাখাল রাহা সহ সেনসেটিভ বহু ইস্যু , নিষিদ্ধ ঘোষিত হিজবুত তাহরীরও এক্টিভ হয়েছে । একই ইস্যুতে চাপা পড়ে গেছে বাংলাদেশের ভারতীয় দূতাবাসের তিন ভারতীয় কর্মচারী দ্বারা বাংলাদেশি মেয়েকে ২০১৫ সালে ধর্ষণ ,গুম ও হত্যার মারাত্মক সেনসেটিভ ইস্যুও ! ”
তিনি আরও বলেন,“বরগুনার গরীব মন্টু দাশের ছোটো মেয়েটা থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ছিলো, তার হার্টেও ছিদ্র ছিলো , সেই মন্টু দাশের মেয়েটা ধর্ষিত হয়েছে , গরীব মন্টু দাশ মেয়ে ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে মার্ডার হয়েছেন ।ইন্টারেস্টিং বিষয় হলো - সংখ্যালঘু ধর্ষণ হয়েছে এবং তার পিতাকেও হত্যা করা হয়েছে - কোনো আওয়াজ নাই , ভারতও বিবৃতি টিবৃতি দিলো না ! মিডিয়া কৌশলে ধর্ষণ এবং ধর্ষিতার পিতা মার্ডারের ইস্যুটা চেপে গেলো !
প্রশ্ন হলো - কেনো ?এই কেসটাকে বাইবাস করে আছিয়ার কেসটা অনেক ফোকাসড হলো ! আছিয়ার বড় বোনের কথাবার্তা অসংলগ্ন !রাষ্ট্রবিরোধী অনেক শক্তি নিজেদের অবস্হান জানান দিলো ছোটো আছিয়াকে পূঁজি করে ।”
আছিয়ার ক্লিনিক্যাল এবং ফরেনসিক রিপোর্ট জনসম্মুখে প্রকাশের আবেদন জানিয়ে আসিফ সৈকত বলেন,“ধর্ষণের কি কি আলামত পাওয়া গেলো এবং ফরেনসিক এক্সপার্টরা কি সিদ্ধান্তে এলেন - জানা প্রয়োজন।”
অবশেষে তিনি বলেন,“শার্লক হোমসের একটা গল্প পড়েছিলাম ছেলেবেলায়- " কমলালেবুর পাঁচ বিচি "
আফরোজা