
ছবি: সংগৃহীত
শিশু ধর্ষণের বিচার দ্রুত ও কার্যকর করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিধান রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করা হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ সংশোধিত আইনের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
সংশোধিত আইনে ধর্ষণের সংজ্ঞা বিস্তৃত করা হয়েছে, যেখানে বলাৎকারসহ সম্মতি ছাড়া সংঘটিত যেকোনো যৌন সহিংসতাকে ধর্ষণ হিসেবে গণ্য করা হবে। এছাড়া, শুধুমাত্র পুরুষ নয়, যেকোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা যাবে। ডিএনএ রিপোর্ট না থাকলেও, মেডিকেল রিপোর্ট ও পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আদালত ধর্ষণের বিচার করতে পারবে।
বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংশোধিত আইন নিয়ে আলোচনা করেন আইন উপদেষ্টা ডক্টর আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, “মাগুরা ও বরগুনার ধর্ষণের ঘটনা বিশ্লেষণ করে অপরাধের ধরন পৃথকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ধর্ষণের মামলার সংজ্ঞা ও বিচার প্রক্রিয়া আরও সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, “শুধু শারীরিক সংগতিপূর্ণ ধর্ষণ নয়, পায়ুপথ বা অন্য কোনো বস্তু ব্যবহার করেও সংঘটিত যৌন সহিংসতাকে ধর্ষণের শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া, মিথ্যা মামলা দিলে বিচারক নিজ উদ্যোগে ব্যবস্থা নিতে পারবেন।”
সংশোধিত আইনের মাধ্যমে ধর্ষণের মামলার বিচার দ্রুততর করা হবে এবং ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
আবীর