
ছবি: সংগৃহীত
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা জানিয়েছেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ সালের সংস্করণে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী আনতে আইন মন্ত্রণালয় প্রস্তাব উত্থাপন করেছে, যা মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে।
তিনি বলেন, "মাগুরা ও বরগুনার সাম্প্রতিক ঘটনা আমাদের সবাইকে নাড়া দিয়েছে। ধর্ষণের বিচারে বিলম্ব হওয়ার অন্যতম কারণ ডিএনএ ল্যাবের স্বল্পতা। বর্তমানে দেশে মাত্র একটি ডিএনএ ল্যাব রয়েছে। আজ সিদ্ধান্ত হয়েছে, দ্রুত চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে আরও দুটি ডিএনএ ল্যাব স্থাপন করা হবে।"
তিনি আরও জানান, বিশেষ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে দ্রুত নতুন বিচারক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে, যাতে ধর্ষণসহ অন্যান্য মামলার বিচার ত্বরান্বিত করা যায়।
এছাড়া, দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে বাজার মনিটরিং, আমদানি ও সরবরাহ ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
মাজার ভাঙচুরের বিষয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, "এখন থেকে সরকার শুধু প্রতিক্রিয়াশীল ভূমিকা নেবে না, বরং এ ধরনের কর্মকাণ্ড কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
সরকারের এসব সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে নারী ও শিশু নির্যাতন দমনের পাশাপাশি নৈরাজ্য ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
আবীর