
ছবি: সংগৃহীত
ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতন মোকাবেলা করার জন্য মুসলিম দেশগুলিতে শরিয়াহ আইনে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে, যা সমাজে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা হয়। শরিয়াহ আইন ইসলামিক শাস্ত্রের ভিত্তিতে গঠিত, এবং এর মধ্যে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। এই শাস্তির উদ্দেশ্য হলো অপরাধীদের জন্য একটি শক্তিশালী সতর্কবার্তা তৈরি করা, যাতে তারা এমন অপরাধ করার আগে সতর্ক হয় এবং দ্বিতীয়বার ভেবে দেখে।
ইসলামে ধর্ষণকে "যিনা" বা "অশ্লীল আচরণ" হিসেবে বিবেচনা করা হয়, এবং এটি সমাজে একটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। শরিয়াহ আইনে ধর্ষণের শাস্তি সাধারণত অত্যন্ত কঠোর। কিছু দেশে এই শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে, বিশেষত যখন অপরাধটি গুরুতরভাবে সংঘটিত হয়।
মুসলিম দেশগুলির মধ্যে কিছু দেশে শরিয়াহ আইনের অধীনে ধর্ষণের জন্য শারীরিক শাস্তি যেমন পেটানো, শিরশ্ছেদ বা পাথর মারা হতে পারে, তবে এটি নির্দিষ্ট শর্তে এবং বিশেষত প্রমাণের ভিত্তিতে প্রদান করা হয়। এছাড়া, অনেক দেশে ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের জন্য দীর্ঘ মেয়াদী কারাদণ্ড হতে পারে, যাতে অপরাধীকে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়। শরিয়াহ আইনে ধর্ষণের শাস্তি দেওয়ার জন্য প্রমাণের প্রয়োজন হয়, যা সাক্ষী, শিকারী ব্যক্তির বক্তব্য বা অপরাধীর স্বীকারোক্তির মাধ্যমে প্রমাণিত হতে পারে।
শরিয়াহ আইনের অধীনে ধর্ষণের শাস্তির কঠোর বিধান সমাজে একটি পরিষ্কার বার্তা দেয় যে, ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতন কখনোই মেনে নেওয়া হবে না। এতে অপরাধীদের জন্য একটি শক্তিশালী সতর্কতা তৈরি হয়, যাতে তারা এমন অপরাধ করতে ভয় পায়। যেখানে অনেক দেশে ধর্ষণের শিকারদের জন্য সঠিক আইনগত সহায়তা পাওয়া যায় না, সেখানে শরিয়াহ আইন তাদের জন্য একটি শক্তিশালী সুরক্ষা বিধান প্রদান করে।
এছাড়া, ইসলামে মহিলাদের সম্মান ও নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ইসলাম মহিলাদের অধিকার রক্ষার জন্য বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করেছে। কিছু মুসলিম দেশে যেমন সৌদি আরব, ইরান, পাকিস্তান এবং সোমালিয়া, শরিয়াহ আইনের অধীনে ধর্ষণের শাস্তি প্রয়োগ করা হয়। এই দেশে ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতন একটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় এবং এর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়, যেমন সৌদি আরবে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে, যদি তা প্রমাণিত হয় এবং যথাযথ সাক্ষী থাকে।
ফারুক