ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৬ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১

​​​​​​​যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আন্তোনিও গুতেরেস

বাংলাদেশের টেকসই ভবিষ্যৎ রচনায় সহায়তা করব

​​​​​​​বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩:৩৯, ১৫ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশের টেকসই ভবিষ্যৎ  রচনায় সহায়তা করব

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও পররাষ্ট্্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন শনিবার ঢাকায় যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের চারদিনের সফরকে সরকার দেশের জন্য অত্যন্ত অর্থবহ বলে মনে করছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা অধিকার নিশ্চিত করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে জাতিসংঘের সহায়তাও কামনা করেছে বাংলাদেশ সরকার।

জবাবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অধিকার সংরক্ষণের জন্য পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করে জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস বলেন, রোহিঙ্গা সংকট কাটাতে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেবে জাতিসংঘ। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তহবিল জোগানেরও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে কাজ করে সবার জন্য একটি টেকসই ন্যায়সঙ্গতহ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সহায়তা করব।

শনিবার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জাতিসংঘ মহাসচিবের সফর নিয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয় উঠে এসেছে। 

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের বাংলাদেশ সফর অন্তর্বর্তী সরকার এবং ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত অর্থবহ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের এই সফর অন্তর্বর্তী সরকার এবং ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত অর্থবহ। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অধিকার সংরক্ষণের জন্য পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করেছেন তিনি।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা রোহিঙ্গাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা, অধিকার নিশ্চিত করে ফেরত পাঠাতে চাই। এক্ষেত্রে জাতিসংঘের সহায়তা কাম্য। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অধিকার সংরক্ষণের জন্য পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে বাংলাদেশ কোনো আলোচনা করেনি বলেও জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের সফর সরকার বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। সফরকালে মহাসচিব জানতে পেরেছেন, রোহিঙ্গারা তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে, নিজস্ব পরিচয় অটুট রাখতে, অধিকার ভোগ করতে মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন করতে কতটা মরিয়া।

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা শিবিরে গিয়ে মহাসচিব তাদের আকাক্সক্ষার প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন। বিশ্বের সবচেয়ে বৈষম্যের শিকার এই জনগোষ্ঠীর দুর্দশার প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এবং সর্বাত্মক সহায়তা নিশ্চিত করতে তিনি জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে রোহিঙ্গা বিষয়ে জাতিসংঘ সম্মেলন সফলভাবে আয়োজনের প্রতি তার সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছেন।

অন্যদিকে রোহিঙ্গা সংকট কাটাতে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দিতে জাতিসংঘ অঙ্গীকারবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট কাটাতে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেবে জাতিসংঘ। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তহবিল জোগানোর আহ্বান জানাই।

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গুতেরেস বলেন, জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে বাংলাদেশের শান্তি স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে জাতিসংঘ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ যা করেছে তা প্রশংসনীয়। রোহিঙ্গা সংকট কাটাতে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেবে জাতিসংঘ। সময় তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তহবিল জোগানোর আহ্বান জানান। বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তি রক্ষার অন্যতম বড় অংশীদার মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ গণতন্ত্র এবং সমৃদ্ধির পথে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করছে। জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে বাংলাদেশের শান্তি স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে জাতিসংঘ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।

সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিব যা বলেন সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান এবং তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ এবং অন্যদের সঙ্গে কাজ করতে সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জাতিসংঘ। একইসঙ্গে বাংলাদেশের চলমান সংস্কার কার্যক্রমে সহায়তা করতে প্রস্তুত জাতিসংঘ।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘বাংলাদেশ যখন গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তখন আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, জাতিসংঘ শান্তি, জাতীয় সংলাপ, আস্থা এবং নিরাময় প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করতে প্রস্তুত। আপনারা জাতিসংঘকে আপনার অবিচল অংশীদার হিসেবে বিশ্বাস করতে পারেন। বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে কাজ করে সবার জন্য একটি টেকসই এবং ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।

রোহিঙ্গা সমস্যার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা জানি যে, সেখানে (মিয়ানমার)) পরিস্থিতির অবনতি ক্রমশ বাড়ছে। রাখাইন রাজ্যসহ মিয়ানমারজুড়ে সহিংসতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ফলে বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটছে এবং অভ্যন্তরীণ সীমান্ত পেরিয়ে বাস্তুচ্যুতি ঘটছে। আমি মিয়ানমারসহ সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন, আন্তর্জাতিক মানবিক আইন অনুসারে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সহিংসতার আরও উস্কানি রোধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।

রাখাইনের অস্থিতিশীল পরিবেশ প্রত্যাবাসনে প্রভাব ফেলবে কিনা প্রশ্নে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে রাখাইনে মিয়ানমার আর্মির সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘর্ষ চলছে। অবশ্যই অবস্থায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন অত্যন্ত কঠিন। একটি প্রয়োজনীয় সমাধান খুঁজে কের করা, সংঘর্ষ থামানো এবং সংলাপ পরিবেশ তৈরি করার জন্য মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রতিবেশীর চাপ দেওয়া উচিত। এর মাধ্যমে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সহায়ক পরিবেশ তৈরি হবে।

আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘আমরা জানি যে, আগে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আরাকানিদের সম্পর্ক তেমন ভালো ছিল না। এজন্য রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ করাটা অত্যন্ত জরুরি।মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি একটি সম্ভাব্য ইনস্ট্রুমেন্ট। কিন্তু এটি বলা মুশকিল কারণ, নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন লাগবে এক্ষেত্রে।

তিনি বলেন, বছরের পর বছর ধরে সহিংসতা নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আসা ১০ লাখেরও বেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের এই উদারতাকে হাল্কাভাবে নেওয়া উচিত নয়। আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও বেশি দায়িত্ব নেওয়ার এবং শরণার্থী এবং তাদের আশ্রয়দাতা সম্প্রদায় উভয়ের জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক রাজনৈতিক সহায়তা প্রদানের জন্য অনুরোধ করে যাব।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, আমরা একটি গভীর মানবিক সংকটের দ্বারপ্রান্তে। আর্থিক সহায়তায় ঘোষিত কাটছাঁটের ফলে, ২০২৪ সালে মানবিক সাহায্যের জন্য বরাদ্দ সম্পদের মাত্র ৪০ শতাংশ ২০২৫ সালে আমাদের হাতে থাকার নাটকীয় ঝুঁকি রয়েছে। এর ভয়াবহ পরিণতি হবে, যার শুরু হবে খাদ্য রেশনের তীব্র হ্রাস দিয়ে বলে তিনি জানান।

বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রসঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমি বৃহত্তর গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার এবং সমৃদ্ধির ভবিষ্যতের জন্য জনগণের আশাকে স্বীকৃতি জানাই। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একটি ন্যায়সঙ্গত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে আপনার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য তার ভূমিকা পালন করতে হবে

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা যা বলেন সংবাদ সম্মেলনে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছ থেকে কোনো নিশ্চয়তা পেয়েছেন কিনা, জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা চাই তারা সম্মানের সঙ্গে এবং নিরাপত্তার সঙ্গে ফেরত যাক। বিষয়টিই জাতিসংঘ মহাসচিব আমাদের বলেছেন। আমরা বিশ্বাস করি যে, জাতিসংঘ বিষয়ে আমাদের সহায়তা দিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান সীমান্তের ওপারে রয়েছে এবং আমরা সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করছি, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ আমি এখানে রোহিঙ্গা কর্তৃপক্ষ বলছি না, কারণ আমরা জানি রাখাইনে নতুন শক্তির উদয় হয়েছে, ওপর চাপ সৃষ্টি করতে। আমরা চাপ  তৈরি করতে চাইছি যাতে করে রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে ফেরত যেতে পারে।

হিউম্যানিটারিয়ান করিডরের বিষয়ে অনুরোধ করেছেন কিনা, জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘এই বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে আলাপ চলছে। এটি একটি অপারেশনাল বিষয় এবং আমরা এটি নিয়ে আলোচনা করব।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের অব্যাহত সমর্থন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। শনিবার রাজধানীর গুলশানে জাতিসংঘের নতুন ভবনে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এই আশ্বাস দেন।

জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের অবদানের কথা স্মরণ করে গুতেরেস বলেন, ‘তারা এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সময় তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগ নিয়েও আলোচনা করেন।

আন্তোনিও গুতেরেস জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখতে এবং জাতিসংঘের আনুষ্ঠানিক পতাকা উত্তোলন করতে শনিবার গুলশানে জাতিসংঘের নতুন ভবন পরিদর্শনে যান।

বাংলাদেশে জাতিসংঘের কান্ট্রি টিমের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকের শেষে তিনি ভবন পরিদর্শন করেন। জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস এবং শিল্প, গৃহায়ন গণপূর্ত-বিষয়ক উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান যৌথভাবে গুলশানেইউএন হাউস ইন বাংলাদেশউদ্বোধন করেন।

সময় সেখানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস।

ইউএন আবাসিক কার্যালয়ের নতুন অফিস উদ্বোধন সফররত জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শনিবার ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক কার্যালয়ের নতুন অফিসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন।

সময় তিনি অফিস প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেন এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোকচিত্রী প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। ছাড়া সেখানে তিনি জাতিসংঘের পতাকা উত্তোলন করেন।

এর আগে আন্তোনিও গুতেরেস জাতিসংঘ আবাসিক কার্যালয়ে কর্মরতদের (বাংলাদেশ কান্ট্রি টিম) সঙ্গে একটি বৈঠক করেন।

সেনাবাহিনী প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। শনিবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তথ্য জানানো হয়।

সৌহার্দ্যপূর্ণ বৈঠকে পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি জাতিসংঘের মহাসচিব জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারিত্ব দক্ষতার প্রশংসা করেন এবং শান্তিরক্ষীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

×