
প্রতীকী ছবি ছবি: সংগৃহীত।
দীর্ঘদিনের প্রস্তুতির পরও বাংলাদেশ এখনও এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে উত্তরণের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত নয় বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অর্থনৈতিক সাংবাদিক ও বিশ্লেষক তৌহিদুল ইসলাম বেসরকারি টেলিভিশনে এক অনলাইন সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, "শর্ত পূরণের পর তিনবার গ্রাজুয়েশনের সময়সীমা বিলম্বিত করা হয়েছে। আবার বিলম্ব করা কঠিন হবে। তাই বাংলাদেশকে এখন সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজতে হবে।"
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ২০১৮ সালে এলডিসি গ্রাজুয়েশনের জন্য নির্ধারিত শর্ত পূরণ করেছিল এবং ২০২১ সালেও সেই শর্ত পূরণ করতে সক্ষম হয়। তবে কাগজে-কলমে উন্নতি ঘটলেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন।
তিনি জানান, "আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো শুল্ক সুবিধা বন্ধ হওয়া। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর রপ্তানি বাণিজ্যে শুল্ক সুবিধা কমে যাবে, যা বড় ধরনের ধাক্কা সৃষ্টি করবে। যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০২৯ সাল পর্যন্ত কিছু সুবিধা দিতে পারে, তবু দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশকে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।"
তৌহিদুল ইসলাম বলেন, "এলডিসি গ্রাজুয়েশন নিয়ে আমাদের আরও গভীরভাবে ভাবতে হবে। শুধুমাত্র সূচকের উন্নতি যথেষ্ট নয়; আমাদের মানবসম্পদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। প্রতিযোগিতার সক্ষমতা তৈরি করতে না পারলে, বৈশ্বিক বাজারে টিকে থাকা কঠিন হবে।"
তিনি আরও বলেন, "জলবায়ুগত চ্যালেঞ্জ, পেটেন্ট রাইটস, ওষুধ রপ্তানি সুবিধা বাড়ানো—এসব বিষয়েও আমাদের এখনই কার্যকর পরিকল্পনা নেওয়া উচিত। উদ্ভাবন ও গবেষণায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, যাতে বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা করতে পারে।"
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণের পরবর্তী ধাপে অর্থনৈতিক কাঠামো শক্তিশালী করতে রপ্তানি খাতের বহুমুখীকরণ, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি এবং মানবসম্পদ উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=03yZQ7wdlII
সায়মা ইসলাম