
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন নয়নের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠার পর সেই যুবদল নেতার ফোনকল এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। অভিযুক্ত সেই যুবদল নেতা আইন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মচারীকে মোবাইল ফোনে বলেন, ‘বাঁচতে চাইলে দ্রুত এক লাখ টাকা বিকাশ করো।’
শুক্রবার চাঁদা দাবির কথোপকথনের বেশ কিছু অডিও রেকর্ড ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন নয়ন কবিরহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জেলা যুবদলের ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক এবং কবিরহাট উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক।
অন্যদিকে ভুক্তভোগী মো. সাকায়েত উল্যাহ শিপন একই উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের চন্দ্রশুদ্ধি গ্রামের আবদুল ওহাবের ছেলে। তিনি আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক হিসেবে কর্মরত।
একটি অডিওতে সাকায়েত উল্যাকে ফোন দিয়ে নয়নকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনাকে চাকরি দিয়েছে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ (বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য)। কিন্তু গত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আপনি নৌকা মার্কার পক্ষে ভোট করেছেন, ডোনেশনও দিয়েছেন। তাই আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে আমাকে এক লাখ টাকা দিবেন। না দিলে এটার পরিণাম কী হবে তা চিন্তাও করতে পারবেন না। আর এ কথা যদি আপনি-আমি ছাড়া তৃতীয় কানে যায় তাহলে আপনার ঘাড় বাঁকা করে ফেলব। এটা যেন মনে থাকে। এটাকে থ্রেড (হুমকি) মনে করলেও করতে পারেন।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসা ভুক্তভোগী মো. সাকায়েত উল্যা শিপন বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন নয়ন উদ্ভট কথা বলে প্রতিনিয়ত এক লাখ টাকার জন্য ফোনে আমাকে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছেন। না দিলে হত্যাসহ আমার বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ারও হুমকি দিচ্ছেন। গ্রামের বাড়িতে আমার স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রী, চার শিশু সন্তান ও মা-বাবা থাকে। আমি তাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে কলরেকর্ড ও মোবাইল নম্বরসহ ঢাকার শাহবাগ থানায় সাধারণ জিডি করেছি।
শাহবাগ থানা সূত্র জানায়, আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী মো. সাকায়েত উল্যার অভিযোগটি সাধারণ ডায়রিতে নথিভুক্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামুনুর রশিদকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ভাইরাল ও ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ড নিজের বলে নিশ্চিত করে অভিযুক্ত যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন নয়ন বলেন, এই সাকায়েত উল্যা শিপন বিগত সময়ে আমাকে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। যার পরিমাণ আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা হবে। তাই তাকে এক লাখ টাকা পরিশোধ করতে বলেছি। কথাগুলো বলতে গিয়ে ঝগড়ার মতো হয়ে গেছে। তাই কিছু গালমন্দও করেছি।
ফুয়াদ