ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১

শেখ হাসিনার চিকিৎসক দলের সদস্য ড্যাবের উপকমিটিতে!

ইসরাফিল ফরাজী

প্রকাশিত: ১৯:০৫, ১৫ মার্চ ২০২৫

শেখ হাসিনার চিকিৎসক দলের সদস্য ড্যাবের উপকমিটিতে!

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিকিৎসক দলের সদস্য ডা. আক্তারুজ্জামান লিকু ডক্টরস এসোসিয়েশন-ড্যাবের ইফতার মাহফিল উদযাপন ২০২৫ এর অভ্যর্থনা উপকমিটির সদস্য হয়েছেন। এ নিয়ে ড্যাবের মধেই ক্ষোভের জন্ম হয়েছে। তবে ডা. আক্তারুজ্জামান লিকু বলছেন তিনি এক সময় ওসমানী মেডিকেল কলেজে ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। 

অভিযোগ রয়েছে, রাজধানীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের একজন হাসপাতালের জুনিয়র কনসালট্যান্ট হয়েও শেখ হাসিনার সময় উপপরিচালকের (চলতি) দায়িত্ব পালন করেছেন। তার প্রেসের ব্যবসা আছে, ন্যাশনাল আই কেয়ারের প্রেসের যাবতীয় কাজ নিজের প্রতিষ্ঠান থেকে করিয়ে ব্যবসা করেছেন। এমনকি, তৎকালীন  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চক্ষু চিকিৎসা নিতে আসলে একাধিকবার তার চিকিৎসক টিমে ছিলেন। 

সে সময় তার ওপর অভিযোগ ছিলো এন্টি আওয়ামী লীগ একজন চিকিৎসক কীভাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসক দলে থাকে, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে সে সময় গণমাধ্যমকে ডা. আক্তারুজ্জামান লিকু বলেছিলেন, ‘তিনি ছাত্রদলের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন না। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিকিৎসক দলের সদস্য ডা. আক্তারুজ্জামান লিকু কীভাবে ড্যাবের ইফতার মাহফিল উদযাপন ২০২৫ এর অভ্যর্থনা উপকমিটির সদস্য হয়েছেন? এ প্রশ্নের ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, ইফতার উপকমিটির সদস্য সংখ্যা কেন্দ্রী কমিটির চেয়ে বড় হয়ে যাচ্ছে। কারণ এখন সবাই থাকতে চায়। সবাই নাম ঢুকাইতেছে। কারণ, ভাবতেছে আমাদের দল ক্ষমতায় চলে আসছে। যে যেভাবে পারে বিভিন্ন ধরনের তদবির করে উপ কমিটি বা সাব কমিটিতে নাম দিতে চেষ্টা করছে। 

তিনি বলেন, ক্ষমতায় থাকলে বা যাওয়ার সম্ভাবনা হলে এই সমস্ত উচ্ছিষ্টভোগীগুলো সব তৎপর হয়ে যায়। আবারও খাওয়ার ধান্দা। বিভিন্ন উপ কমিটিতে ঢুকে পরে দেখাবে, আমি অমুক কমিটিতে ছিলাম, আমাকে এটা দেন। এই সুযোগটা নেওয়ার জন্য এরা নানান কমিটিতে ঢুকে যায়। কিন্তু কাজের সময় তো আমরা এদের পাই নাই। বরং এরা আমাদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। যাই হোক এগুলো আমাদের মিসটেক হয়, সব জায়গায় হচ্ছে। তবে আমরা খুব সতর্কতার সঙ্গে দেখবো। আমাদের এ বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। 

বিষয়টি নিয়ে ডা. আক্তারুজ্জামান লিকুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, আমি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে ছাত্রদলের সভাপতি ছিলাম। পরবর্তীতে ২০১৪-১৫ সালে ড্যাবের নারায়ণগঞ্জ শাখায় সদস্য হই।

পেশাগত জীবনে আওয়ামী লীগের সভাপতির চিকিৎসক দলে থাকার বিষয়ে তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, সে সময় একটি গণমাধ্যম আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে। আমি ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না তা কখনোই অস্বীকার করিনি। 

তিনি বলেন, একটি পক্ষ পরিকল্পিতভাবে আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমি পল্টন থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছি। আমি নিজের যোগ্যতা দিয়ে সব কিছু অর্জন করেছি।

ফুয়াদ

×